তাঁর কথায়, 'জেলার নেতৃত্বকে কখনই গুরুত্ব দেয় না বিজেপি। ভোটের আগে কাজ করলাম আমরা, আর আমাদেরই কোনও গুরুত্ব দেয়নি। ভোটের আগেই দলবদল করতে পারতাম। কিন্তু তা করলে আমাকে গদ্দার বলা হত। আমি দলকে পাঁচটা আসন দিয়েছি। তারপর ফিরেছি। কিন্তু বিজেপি জেলার নেতাদের গুরুত্বই দেয় না। তাই দল ছেড়ে এলাম।' আর যাঁর উপস্থিতিতে এই যোগদান, সেই মুকুল রায় বলেন, 'এটা শেষের শুরু। বিজেপি যেখানে নিজেদের শক্তিশালী বলে দাবি করছে, সেই উত্তরবঙ্গ থেকেই আগে ভাঙন ধরল ওই দলে। এরপর আরও দেখবেন।' জেলার রাজনৈতিক মহলেরও মতে, গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার বিজেপি ত্যাগ গোটা জেলায় গেরুয়া শিবিরকে বিপুল ক্ষতির মুখে ফেলবে।
advertisement
গঙ্গাপ্রসাদের দলবদল নিয়ে গতকাল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, 'আমরা আরও বড় গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা তৈরি করব'। এদিন তার জবাব দিয়েছেন গঙ্গাপ্রসাদ। বলেন, 'শুভেন্দু বাবু তো পদের লোভেই দলে এসেছেন। বিধানসভার টিকিট না দিলে, বিরোধী দলনেতা না করলে তিনি কি বিজেপিতে থাকবেন? এই তো দলে এলেন। বড়বড় কথা বলছেন এখন। আর বিজেপি এদের নিয়ে নাচানাচি করছে। নিজের দলের নেতাদের কোনও গুরুত্বই দেয় না।' তবে মুকুল রায় যেভাবে বিজেপির শেষের শুরু নিয়ে মন্তব্য করেছেন, তাতে গেরুয়া শিবিরে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
অপরদিকে, তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার বিজেপি নেতা তপন সিনহা। শনিবার সন্ধ্যায় গোবরডাঙা টাউনহলে তৃণমূলের এক সভায় যোগদান করেন তিনি। বিজেপিতে মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন তপনবাবু। মুকুল রায় যেদিন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন, সেদিনই বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। একই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছিলেন, বিজেপিতে কাজ করতে পারছেন না। শেষমেশ শনিবার তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি।
