প্রতিবছর বড়দিনে রেকর্ড মানুষের সমাগম হয় চিড়িয়াখানায়। বাঘ, সিংহ, হাতি, জিরাফ, জলহস্তী, গন্ডার দেখার পর পিকনিক। আর সেই পিকনিকে সিংহভাগ মানুষের মেনুতে রয়েছে লুচি আর মাংস।
কেনও লুচি আর মাংস এতটা পছন্দ? সোদপুরের বাসিন্দা অনামিকা সাহা পরিবারের সঙ্গে এসেছেন চিড়িয়াখানায়। তিনি বলেন, "লুচি আর মাংস পছন্দ করে না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাছাড়া যেহেতু চিড়িয়াখানায় বেশিরভাগ মানুষ পরিবারের সঙ্গে এসে থাকেন তাই এখানে ঘরোয়া খাবার খেতেই সবাই পছন্দ করেন। সবচেয়ে বড় কথা এটা বানাতে সময় খুবই কম লাগে। তাছাড়া এটা খুবই খরচ সাপেক্ষ। লুচি মাংসের পাশাপাশি আনা হয়েছে কলা, ডিমসেদ্ধ, পাউরুটি, আলুরদম, নলেন গুড়ের মিস্টি ও জয়নগরের মোয়া।"
advertisement
আরও পড়ুন : বড়দিনের বড় ধামাকা! বাবা-ছেলের যুগলবন্দির ভিডিও শেয়ার করলেন প্রসেনজিৎ, সঙ্গে ইনি কে?
মানিকতলার বাসিন্দা রাই দাস বলেন, "চিড়িয়াখানায় মানুষ সাধারণত সকাল সকাল আসেন। কিন্তু অত সকালে বিরিয়ানি বা চাউমিন পাওয়া যায় না। চাউমিন যদিও বা বাড়িতে বানানো হয়, বিরিয়ানি সাধারণত বাড়িতে হয় না। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে বাড়িতে তৈরি মাংস ও লুচি কম সময় বাড়িতে বানিয়ে নেওয়া যায়। যেহেতু চিড়িয়াখানায় এলে অনেকটা সময় থাকতে হয় সেক্ষেত্রে বেশি মশলাদার খাবার খেলে অস্বস্তি হতে পারে। সেই কারণেই বাড়ির তৈরি হালকা খাবারই সবার পছন্দের।
আরও পড়ুন : হলুদ শাড়ি, গায়ে হলুদের ছোঁয়া! পৌষে বাড়ির বিয়ের অনুষ্ঠানে মাতলেন ঋতাভরী, দেখুন ছবি
মাংস লুচির পাশাপাশি কেক, মিস্টি, মোয়া, কোল্ড ড্রিংকস ইত্যাদি থাকে মেনুতে। তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী নীলিমেশ দে বলেন, "আগে মানুষ মাঝেমধ্যে বাইরে গিয়ে চপ কাটলেট খেতেন। এখন তো বাইরের খাবারই বেশি খেতে হয়। বিরিয়ানি, চাউমিন, রোল ইত্যাদি খেয়েই থাকতে হয়। সেই জায়গায় লুচি মাংস যেন অমৃত। তাই এর কোনও বিকল্প নেই।" সকালের দিকে একচেটিয়া লুচি মাংস থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একটু একটু করে পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে শুরু করে। দ্বিতীয় ধাপে যে দর্শনার্থীরা আসেন তাঁদের মেনুতে জায়গা করে নেয় বিরিয়ানি, চাউমিন, সব্জি-পুরি ইত্যাদি। একাধিক জায়গা দেখার পর চিড়িয়াখানায় আসা দর্শকদের বেশিরভাগকেই বাইরের খাবারের উপরই নির্ভর করতে হয় আর তখন এর যোগানও থাকে। কিন্তু লুচি মাংসের তুলনায় তা অনেক কম