এখানেই শেষ নয়, চিঠিতে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই ইয়াস পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ বৈঠকটি নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী যিনি একই সঙ্গে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগীয় প্রধানও বটে। ফলে এই বৈঠকে না থাকাটা বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ৫১ নং ধারাকে লঙ্ঘন করে। এই জায়গা থেকেই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কেন্দ্রের প্রশ্ন কেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
advertisement
প্রসঙ্গত গতকাল সোমবারই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় আমলা তথা রাজ্যের মুখ্যসচিব পদ থেকে অবসর নেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে মুখ্যসচিব পদে বহাল করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলাইকুন্ডা প্রসঙ্গে সর্বসমক্ষে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের আগে কিন্তু আমাকে বলা হয়নি যে তাঁর সঙ্গে দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে তিনি আগ্রহী। শুধু দেখা করার কথা বলা হয়েছিল। সেই মতো আমি ও রাজ্যের মুখ্য সচিব তাঁর সঙ্গে দেখা করি। আলাপনকে তলব করা নিয়ে কূপিত মমতা প্ৰশ্ন করেন, আপনারা একক ভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কি ? সারা দেশে কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি। দেশের অন্যতম প্রথম সারির একজন আমলার সাথে এইসব করা যায় কি ?
মমতা আরও বলেন, "রুল বুকের ৬(১) ধারা উল্লেখ করে তাঁকে তলব করা হল। রাজ্যের সাথে কোনো আলোচনাই করা হলো না। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর এই কাজ তো প্রতিহিংসা পরায়ন। আপনারা কোনো আলোচনা না করেই এটা যা করছেন, তা আঘাতে নুনের ছিটা। কেন তাঁকে দিল্লিতে ডাকা হলো সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু বলা হয়নি। আলাপনকে কেন ডাকা হচ্ছে সেটা তো জানানো উচিত।"
মমতা অবশ্য শো-কজের চিঠি নিয়ে তেমন কোনও মন্তব্য করেননি, তিনি জানান সেই চিঠি পাওয়ার আগেই আলাপনবাবু অবসর নিয়েছেন।
-ইনপুট সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়