নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুজনের পাঠানো চিঠিরই বিষয়বস্তু এক। দ্বিতীয়ত চিঠিতে বলা হয়েছে বৈঠকে না থাকার কথা যে কেন্দ্রের তরফে বলা হচ্ছে তা সঠিক নয়। কারণ কলাইকুণ্ডায ইয়াস পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে তারা হাজিরা দিয়েছিলেন। চার পাতার চিঠিতে একাধিক বিষয় উল্লেখ আছে। যেহেতু কেন্দ্রের যে শোকজ পাঠানো হয়েছিল সেখানে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যসচিব দুজনকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছিল। সেজন্যেই দুজনের চিঠির বয়ান এক। নবান্ন সূত্রে এমনটাই খবর।
advertisement
কেন্দ্রের তরফে যে সময়সীমা দেওয়া হয়েছে তার মধ্যেই শো কজের উত্তর পাঠিয়ে দেবেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Alapan Bandyopadhyay), এমনটা আগেই জানা গিয়েছিল বিভিন্ন সূত্রে। কলাইকুন্ডা কাণ্ড নিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ভঙ্গের অভিযোগ জানিয়ে কেন্দ্র তাঁকে শো-কজ করে তিন দিনের সময় দিয়েছিল উত্তর দেওয়ার জন্য। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সেই সময়সীমা শেষ হয়।
আলাপন বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই যুদ্ধে যে একা নন, তা এতদিন বারংবার বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁকে সামনে রেখে কার্যত নতুন যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবারও তিনি একই ভাবে পাশে থাকার বার্তা দেন। বলেন, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষয়টা এখন ক্লোজড চ্যাপ্টার। উনি অবসর নিয়ে নিয়েছেন। ওঁর পাশে থাকবে রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়-বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে ২৮ মে কলাইকুণ্ডার বৈঠক। রাজ্যের দাবি সেই বৈঠকে পৌঁছনোর জন্য় হেলিকপ্টার প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার কারণে ছাড়ে ২০ মিনিট দেরি করে। ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর পরেও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দিঘায় অন্য একটি বৈঠক পূর্বনির্ধারিত ছিল, তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আলাপন বন্দ্যোপাধ্য়ায় প্রধানমন্ত্রীর হাতে রিপোর্ট দিয়েই বেরিয়ে আসেন। পরে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনকে সামনে রেখে শো কজ পাঠানো হয়। কিন্তু রাজ্যের বক্তব্য বৈঠকটি যে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা আইনের আওতায় ডাকা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী যে এনডিএমএ- চেয়ারম্যান হিসেবে ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন তা উল্লেখ ছিল না আমন্ত্রণে। এই যুক্তিই কি রয়েছে বৃহস্পতিবারের জোড়া-চিঠিতে? কেন্দ্র কী মেনে নেবে সেই যুক্তি? পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে চলেছে উভয় পক্ষের? উত্তর দেবে সময়।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়