#কলকাতা: চাকরিতে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা। তার মধ্যে ফের কবে লকডাউন মিটবে, তা নিয়েও ঘোর অনিশ্চয়তা। আর লকডাউন উঠে গেলেও বিমান পরিষেবা এখনই স্বাভাবিক হবে, এমন কোনও নিশ্চয়তাও এখনই কোনও মহল দিতে পারছে না। তার মধ্যেও কাজে বিরাম নেই। কারগো বিমান চলছে বলে বিমানবন্দর কিন্তু খোলাই রয়েছে। কাজ করছেন অধিকাংশ বিমানবন্দরের কর্মী। আর এই অনিশ্চয়তার মধ্যেই তাঁরা শুধুই কাজে আসছেন না, পাশে দাঁড়াচ্ছেন এই লকডাউনের বাজারে অথৈ জলে পড়া গরিব-গুর্বো মানুষগুলোর পাশে।
advertisement
এয়ারপোর্ট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এই লকডাউনের সময়ে অসুবিধেয় পড়া গরিব মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কর্মীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে প্রতি গরিব পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ৪ কিলো চাল, দু'কিলো আটা, দু'কিলো ডাল এবং ১ লিটার তেল। এখানেই শেষ নয়, সমস্ত এয়ারপোর্ট কর্মীর এক দিনের বেতন কাটার জন্য এয়ারপোর্ট অথরিটির কাছে অনুমোদন চেয়েছিল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন। সেই অনুমোদন মিলেছে।
সংগঠনের নেতা প্রদীপ সিকদার জানিয়েছেন, প্রায় ৬৫০ জন কর্মীর এক দিনের বেতন কেটে নেওয়া হবে। তাতে মোট টাকা সংগৃহীত হবে ২০ লক্ষের মতো। ওই টাকা করোনার বিরুদ্ধে মোকাবিলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে দান করবে সংগঠনটি।
প্রদীপবাবু বলেন, "এ কথা সত্যি যে, করোনা হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিমান পরিবহণ শিল্প। আমাদের বেতন পাওয়া নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। কিন্তু আমাদের চেয়েও এই মুহূর্তে অনেকেই খারাপ আছেন। তাঁদের পাশে তো আমাদের দাঁড়াতেই হবে।"