বুধবার দুপুরে আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল স্বাস্থ্য ভবন চত্বরে পৌঁছতেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। তাঁকে দেখেই অবস্থানরত জুনিয়র ডাক্তারেরা ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিলেন। যদিও অগ্নিমিত্রার দাবি, তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে রাজনীতির রঙ লাগাতে আসিনি। দলীয় কার্যালয়ে কাজে এসেছেন। তাঁর কথায়, ”আমি রাজনীতির রং লাগাতে আসিনি। এখানে অফিস আছে, রাস্তা বন্ধ, তাই তাদের মাঝখান দিয়েই আসতে হত। ওরা গো ব্যাক বললেও আমি দিদির মত ওদের পাশে আছি।”
advertisement
এদিকে, অবশেষে আলোচনার জন্য রাজি হলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে জানানো হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
আলোচনায় রাজি হলেও তাঁরা কিছু শর্ত রেখেছেন। সেই শর্ত হল, সবক’টি মেডিক্যাল কলেজের তরফে প্রতিনিধিদের সেই আলোচনায় উপস্থিত রাখতে হবে। সেই সঙ্গে তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ শর্ত গোটা আলোচনা প্রকাশ্যে (ওপেন ফোরামে) করতে হবে, অর্থাৎ রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলে হবে না। সেখানে যাতে সংবাদমাধ্যেম উপস্থিত থাকে এবং গোটা রাজ্যবাসী আলোচনা সম্পর্কে যাতে জানতে পারেন, সেই ব্যবস্থাও রাখতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার অর্থাৎ গতকাল বিকেল পাঁচটার মধ্যে আন্দোলনকারী জুনিয়ার ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলা হলেও আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের সম্পূর্ণ দাবিদাওয়া পূরণ হয়নি বলে জানান আন্দোলনকারীরা। মঙ্গলবার জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্য ভবন অভিযান ছিল। করুণাময়ী থেকে মিছিল করে এসে স্বাস্থ্য ভবনের কাছে ব্যারিকেডের সামনে এলে পুলিশ স্বাস্থ্য ভবনের দিকে যেতে নিষেধ করায় সেখানেই অবস্থান আন্দোলন শুরু করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেই থেকে মঙ্গলবার সারারাত তাঁরা অবস্থান করেন। যতক্ষণ না পর্যন্ত তাদের সমস্ত দাবি পূরণ হচ্ছে এখানেই শান্তিপূর্ণভাবে ধরনা অবস্থান চালানো হবে বলে জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। মঙ্গলবার সরকারের তরফে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তাতে সাড়া দেননি জুনিয়র চিকিৎসকরা। এবার শর্তসাপেক্ষে আলোচনায় রাজি হলেন তাঁরা।