মাসিক ফি এক হাজার টাকা। রাতারাতি তা হয়ে গেছিল এক হাজার চারশো। স্কুলে ভর্তি হওয়ার ফি দশ হাজার। কোনও রকম নোটিস ছাড়াই হয়ে গেছিল দ্বিগুন অংকের। অর্থাত কুড়ি হাজার। সকালে রাজারহাটের সেন্ট জনস স্কুলে এসে তা জানতে পেরে অভিভাবকেরা হতবাক।
কেন আচমকা এই সিদ্ধান্ত? এ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ে। স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায়ও বসতে চান বাবা-মায়েরা। রাজি হয়নি স্কুল। উল্টে, সিদ্ধান্ত পছন্দ না হলে সরকারি স্কুলে পড়ানোর নিদান দেন তাঁরা। এরপরই চরমে ওঠে বিক্ষোভ। স্কুলের সামনেই রাস্তা আটকে বসে পড়েন অভিভাবকরা।
advertisement
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নারায়ণপুর ফাঁড়ির পুলিশ। এরপরও ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরতে রাজি হয়নি সেন্ট জনস স্কুল কর্তৃপক্ষ। অবরোধও জারি থাকে। খবর সংগ্রহে গেলে সাংবাদিকদের মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়।
ঝামেলা থামাতে হস্তক্ষেপ করেন বিধাননগরের ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে আলোচনায় বসেন স্কুল-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। চাপে পড়ে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে স্কুল কর্তৃপক্ষ।