সেখানে ফোন আসতেই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান যাদবপুর থানার তদন্তকারী অফিসার। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বৃদ্ধ নীধির কুন্ডু ফোন দুইদিন ধরে ধরছিলেন না। বাড়িতে এসে দরজা বন্ধ দেখে ডুবলিকেট চাবি দিয়ে দরজা খোলে নীধিরের আত্মীয় পরিজনরা।
ঘরের চাবি খুলতেই দেখা যায়, নীধির কুন্ডুর দেহ পচা গলা অবস্থায় খাটের নিচে পড়ে আছে। ভালো করে দেখলে বোঝা যায়, মোটা প্লাস্টিক মোড়া অবস্থায় ছিল সেই দেহ।
advertisement
আরও পড়ুন- বিরিয়ানির দোকানে গুলি চলার ২৪ ঘণ্টা পরেও গ্রেফতার নয় কেউ, উঠছে একাধিক প্রশ্ন
তদন্তকারী অফিসার তৎক্ষনাৎ খবর দেন লালবাজারে। ঘটনাস্থলে চলে আসে লালবাজারের হোমিসাইড বিভাগ ও সাইন্টিফিক শাখা। ঘটনাস্থল দেখে তাঁরা সহজেই বুঝতে পারেন, এই রহস্য মৃত্যু আদতে খুন।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ভারপ্রাপ্ত এসএসডি ডেপুটি কমিশনার অতুল ভি। বেশ কিছু আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনা রহস্য ভেদ করার চেষ্টা করে পুলিশ। ঘরের মধ্যে থেকে উধাও হয় মোবাইল ফোন, টেলিভিশন সেট ও ল্যাপটপ।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান যুগ্ম কমিশনার অপরাধ মুরলী ধর শর্মা। বেশ কিছু ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করে জানা যায়, নীধির কুন্ডুর স্ত্রী মারা যান প্রায় আট বছর আগে। তারপর থেকে একাই থাকতেন বৃদ্ধ। ৬৭ বছরের বৃদ্ধকে প্রতিবেশীরা গত শনিবারও ঘরের বাইরে বেরতে দেখেন বলে জানান পুলিশকে।
ভারপ্রাপ্ত এসএসডি ডেপুটি কমিশনার অতুল ভি জানান, প্লাস্টিক মোড়া পচা গলা দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও বিভিন্ন জিনিস উধাও বলে জানা যায়।
আরও কিছু উধাও কিনা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও এই খুন লুঠের জন্য বলে প্রাথমিক অনুমান গোয়েন্দাদের। পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার দুপুরের খাবার আগেই মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধের।
আরও পড়ুন- যোগ্যকে বঞ্চিত করে মন্ত্রীর মেয়েকে চাকরির অভিযোগ, শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নয়া মোড়!
বন্ধ মোবাইল ফোনের শেষ টাওয়ার লোকেশন কুলটি বলে জানা গেছে। ঘরের মেঝেতে রক্ত থাকলেও ঘর গোছানো অবস্থায় রাখা ছিল। যদিও বৃদ্ধের আবাসনের উল্টোদিকে পাশের একটি বাড়িতে সিসি ক্যামেরা মিলেছে। সেই ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। একাকী বৃদ্ধের মৃত্যু ঘটনায় কোনও সম্ভাবনাকেই উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।