বিধানসভার স্পিকারের কাছ থেকে শপথ বাক্য পাঠ করায় সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকারকে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা বয়েছে, তাঁদের শপথ বৈধ নয়। কারণ, তিনি ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে শপথ নিতে বলেছিলেন।
আরও পড়ুন- বাজেটে কাবু মারণরোগ! ক্যানসারের চিকিৎসার খরচ এবার অনেকটাই কমবে
advertisement
মমতা জানান, ‘এটা জনতার দরবার, গণতন্ত্রের দরবার। বাংলার সমস্ত ভোট দাতাদের আমার কৃতজ্ঞতা জানাই। বিজেপি সারা দেশে সিঙ্গল মেজরিটি হতে পারেনি। যদি মিলিয়ে দেখেন পুরো ‘এনডিএ’ ৪৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে। আর ‘ইন্ডিয়া’ জোট আমাদের ভোট মিলিয়ে পেয়েছে ৫১ শতাংশ। মাননীয় অধ্যক্ষ এই বিধায়কদের যে শপথ পাঠ করিয়েছেন, সেটা সর্ব সম্মতিক্রমে হয়েছে। যদি কারও আপত্তি করার বিষয় থাকত, তাঁরা বিধানসভায় উপস্থিত থেকে সেটা করতে পারতেন।’
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘যারা আসল খুনি, ডাকাত, যারা নিট কেলেঙ্কারি করে, তাদের পেনাল্টি হয় না। পেনাল্টি হয় তাদের, যারা সাধারণ মানুষের ভোট নিয়ে জয়ী হয়েছেন। আমি বলব লাইনে চলুন, বেলাইনে চলবেন না। আপনি কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতি বায়াসড হতে পারেন না। আপনার বিরুদ্ধে পেনাল্টি কে দেবে? পাঁচশো টাকা করে পেনাল্টি করেছেন। এটা তো ব্রিটিশ আইন। কিন্তু কখনও কখনও কনভেনশন কে মান্যতা দিতে হয়।’
সায়ন্তিকা ও রেয়াতকে জরিমানা করার প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘লাইনে চলুন, বেলাইনে চলবেন না। মন্ত্রীদের শপথ রাজভবনে হয়, কিন্তু বিধায়কদের শপথ সাধারণত বিধানসভা তেই হয়। এটাই রীতি। বিধানসভার যে রুলস রয়েছে, সেই রুলস অনুযায়ী মাননীয় অধ্যক্ষ সঠিক কাজই করেছেন।’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাজভবনের আপত্তি সত্ত্বেও চারজন নতুন বিধায়ককেই শপথ বাক্য পাঠ করালেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথ নিলেন মানিকতলার বিধায়ক সুপ্তি পাণ্ডে, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী, রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী এবং বাগদার বিধায়ক মধুপর্ণা ঠাকুর।
