আপাতত ত্রিপুরায় পড়ে থাকছেন কুণাল ঘোষ-সমীর চক্রবর্তী'রা। প্রতি সপ্তাহেই দলের তরফ থেকে প্রতিনিধি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বলে গিয়েছেন, তিনি এখন থেকে নিয়মিত আসবেন ত্রিপুরায়। আর দলের যে সব কর্মী আন্দোলন করছে তাদের রক্ষা করার দায়িত্ব তাঁর। কাউকে লড়াইয়ের জমি ছেড়ে যেতে বারণ করেছেন অভিষেক। তাঁর সফরে অবশ্য দলের কর্মীরা উৎসাহ পাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় নেতারা।
advertisement
ত্রিপুরার নেতা আশিষলাল সিংহ জানিয়েছেন, "অভিষেকের মতো নেতা সারাক্ষণ আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেন। থানায় বসে থেকে সবটা মনিটরিং করলেন। দলের নেতা-কর্মীদের ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়লেন, এর থেকে বড় ব্যাপার আর কী হতে পারে?" অভিষেক নিজেই জানিয়েছিলেন মাসে দু'বার-তিন'বার করে তিনি আসবেন আগরতলায়।
অন্যদিকে, রবিবার রাতেই কলকাতায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সুদীপ-জয়া'কে। দেবাংশুর অভিযোগ, ত্রিপুরাতে ঠিকমতো চিকিৎসা হয়নি, সেকারণে বিশেষ বিমানে ত্রিপুরা থেকে মধ্যরাতে কলকাতায় উড়িয়ে আনা হয়েছে দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্তকে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এই তিন যুবনেতাকে নিয়ে কলকাতাতে ফেরেন। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে তৃণমূল নেতা দেবরাজ চক্রবর্তী, এই তিন যুবনেতাকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের দো'তলায় ১০৩ নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয় সুদীপ রাহাকে। অপরদিকে ২০৩ নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয় যুব তৃণমূল নেত্রী জয়া দত্তকে। সুদীপের মাথায় আঘাত রয়েছে। সিটি স্ক্যান থেকে শুরু করে তাঁর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা হচ্ছে রাত থেকেই। জয়া দত্তের, বাঁ পাশের গালে আঘাত রয়েছে। তৃণমূল নেত্রী জয়া দত্ত জানান, ত্রিপুরাতে বিজেপির বিপ্লব দেবের বিপ্লব শেষ হয়ে গেছে। চিকিৎসা শেষে, ফের তারা ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।
