কলেজের অধ্যক্ষকে ফোনে পরিচালন সমিতির সভাপতি নির্দেশ দেন, ‘‘ দ্রুত কলেজ স্বাভাবিক করতে হবে ৷ অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশিকা প্রত্যাহার করতে হবে ৷ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কলেজ চালু করতে হবে ৷ ’’
নিরাপত্তাহীনতার অজুহাত দেখিয়ে এদিন সকাল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই কলেজ। শিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনা না করে, এমন একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ফোন করেন অধ্যক্ষকেও। দ্রুত কলেজ খোলার নির্দেশ দেন তিনি। শেষমেশ তাঁর ধমকে হুঁশ ফেরে কর্তৃপক্ষের। কলেজের গেটে ঝুলছে অনির্দিষ্টকালের বন্ধের নোটিস। হঠাৎ এমন পরিস্থিতি পড়ে ক্ষোভ চেপে রাখেননি চারুচন্দ্র কলেজের ছাত্রছাত্রী ও অধ্যাপকরা।
advertisement
বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তা রক্ষীকে সরানো নিয়ে মঙ্গলবার উত্তাল হয়ে ওঠে ওই কলেজ। চলে ঘেরাও। হয় ধাক্কাধাক্কিও। তার জেরেই নিরাপত্তাহীনতার অজুহাত দেখিয়ে বুধবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় কলেজ। একেবারে কারখানা লক আউটের ধাঁচে।
চারুচন্দ্র কলেজে বারবার গন্ডগোল নিয়ে নজরদারি চলছিল শিক্ষা দফতরের। বুধবার কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন একতরফা সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী। এনিয়ে পরিচালন সমিতির সভাপতি ও অধ্যক্ষকে ফোনও করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘ তাড়াতাড়ি কলেজের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে। বন্ধের নির্দেশিকা প্রত্যাহার করতে হবে। দ্রুত কলেজ চালু করতে হবে ৷ ’’
ছাত্র ভর্তি হোক বা পরিচালন সমিতির সভাপতি নির্বাচন। বিভিন্ন বিষয়ে বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠছে চারচন্দ্র কলেজ। ব্যাহত হচ্ছে পঠনপাঠন। বুধবার, শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সমস্যামুক্তি ঘটল। শিক্ষা দফতরের তদন্তের নির্দেশও চাপে রেখে দিল কলেজ কর্তৃপক্ষকে।