বিশ্বজুড়ে নোবেল কোন ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বেড়ে চলেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। তার সঙ্গে বেড়ে চলেছে মাত্রাছাড়া আতঙ্ক। ভারতবর্ষও ব্যতিক্রম নয়। পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১০। যদিও প্রথম থেকেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তবুও কোনোরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ। করোনা মোকাবিলায় সল্টলেক স্বাস্থ্য ভবনে বেশ কয়েকটি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তার মধ্যে একটি বৈঠক উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালের অধ্যক্ষ এবং সুপাররা। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী
advertisement
# রাজ্যের যে সরকারি হাসপাতালগুলিতে আইসোলেশন ওয়ার্ড রয়েছে, সেখানে ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড তৈরি করা হয়েছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ফুসফুস বিশেষজ্ঞ, মাইক্রোবায়োলজিস্ট, ইএনটি, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এই মেডিকেল বোর্ড তৈরি করা হয়েছে।
# করোনা আক্রান্তদের জন্য পৃথক আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও আইসোলেশন সিসিইউ বা ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট প্রস্তুত। কারণ, সাধারণ সিসিইউ'তে কোনভাবেই করোনা সন্দেহের রোগীকে আনা সম্ভব নয়।
# বেলেঘাটা নাইসেড এবং এসএসকেএম হাসপাতাল এই একমাত্র করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা যায়। সোমবার থেকে সম্ভবত ট্রপিক্যাল মেডিসিনে হবে করোনা পরীক্ষা। উত্তরবঙ্গেও শুরু হবে শীঘ্রই।
# ইতিমধ্যেই সমস্ত চিকিৎসক-নার্সদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বিশেষত মেডিসিন বিভাগ, কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ এবং শিশু বিভাগ এর চিকিৎসকদের এবং নার্স স্বাস্থ্যকর্মীদের সদা সতর্ক থাকতে হবে।
# পাবলিক এড্রেস সিস্টেম বা বা মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে যেখানে রোগীদের বা রোগীর আত্মীয়দের ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ করা নিয়ে সতর্ক থাকার আবেদন। ভিড় জায়গা এড়িয়ে চলার আবেদন করা হবে।
এই সব নিতি মেনেই চলছে সচেতনতা। পাশাপাশি করোনা রুখতে রাজ্যে তথা গোটা দেশে শুরু হয়েছে ২১দিন ব্যাপী লক ডাউন।
AVIJIT CHANDA