২০১৩ সালে গোড়ার দিকে গুজরাটের গোধরাতে নিজের শ্বশুর বাড়ি থেকে বাজার যাওয়ার পর আর বাড়ি ফেরেননি গীতা প্যাটেল ! তখন তাঁর বয়স ছিল ৩১ বছর। পরিবারে ছিলেন ৩ সন্তান এবং তাঁর স্বামী। এরপর খোঁজ শুরু করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। মিসিং ডাইরি করা হয় পুলিশে। নিকট সমস্ত আত্মীয় থেকে আরম্ভ করে হাসপাতাল, সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় দীর্ঘ সময় ধরে খুঁজেও মেলেনি গীতার কোনও সন্ধান। বাড়ি ফিরে আসার ক্ষীণ হয়ে এলেও হাল ছাড়েনি গীতার পরিবার। বাস স্ট্যান্ড থেকে শুরু করে জনবহুল সব জায়গায় গীতার ছবি দিয়ে পোস্টার করে ছড়িয়ে দিন পরিবার। সেটা নজরে পরে গুজরাট পুলিশেরও।
advertisement
গীতার বক্তব্য, কোনও কারণে সব ভুলে একদম অচেনা শহর কলকাতায় চলে আসেন আসেন তিনি! তারপর আর তেমন কিছুই মনে ছিল না তাঁর!কলকাতা পুলিশের সহায়তায় পাভলভ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় গীতাকে। এরপর ১১ বছরের টানা চিকিৎসায় সুস্থ্য হয়ে গত বছরের একদম শেষের দিক থেকে নিজের বাড়ির ঠিকানা বলতে পারেন গীতা। এরপর অবশেষে ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলার মানসিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যোগাযোগ করে গুজরাট পুলিশের সঙ্গে।
পুলিশ খবর দেয় হারিয়ে যাওয়া গীতার পরিবারকে। তারপরই তড়িঘড়ি প্রস্তুতি নিয়ে ১৬ তারিখ পরিবার পৌঁছয় শহরে। ১৭ তারিখ হাসপাতালে পৌঁছে হারিয়ে যাওয়া মেয়েকে ফিরে পেয়ে উচ্ছসিত পরিবার। ভিডিও কলের মাধ্যমে নিজের সন্তানদের সঙ্গে কথা বলে চোখে জল চিক চিক করে ওঠে বর্তমানে ৪২ বছরের গীতার। পাভলভ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, এখন মানসিক এবং শারীরিক ভাবে একদম সুস্থ গীতা। পরিবারের হাতে ১১ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া গীতাকে তুলে দিতে পেরে খুশি চিকিৎসকরাও।