পরিবার সূত্রে খবর বুধবার রাতে শেষ কথা হয় স্বরূপের সঙ্গে বাবা মায়ের, বাবা মায়ের শরীরের খোঁজ নেন তিনি। এর পর বুধবার ভোররাত নাগাদ আগুন লাগে সেই কারখানায়। তারপর স্বরূপের ফোনে ফোন করে পাওয়া যায়নি তাঁকে। ছেলে আর নেই শুনে কার্যত ভেঙে পড়েছেন তাঁরা। একই চিত্র চাকদার কুন্দলিয়া গ্রামের সুব্রতদের বাড়িতেও।
advertisement
বিলকান্দা শিল্পতালুকের ওই কারখানায় আগুন লেগেছিল বুধবার মধ্যরাতে। সোদপুরের বিলকান্দা শিল্পতালুকের গেঞ্জি কারখানায় সেই আগুন নেভে ৩৮ ঘণ্টা পর। এই লম্বা সময় ধরে ২২ টি ইঞ্জিন লাগাতার কাজ করে গিয়েছে, ভাঙা হয়েছে বিল্ডিংটির নানা অংশ। আজ, শনিবার ওই চারজনের খোঁজ করতে ড্রোন নামানোর পরিকল্পনা করে দমকল, পিডাব্লিউডি ও সিভিল ডিফেন্স আধিকারিকরা। অবশেষে পকেট ফায়ার অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসায় ওই বাড়িতে প্রবেশ করেই দেহগুলির সন্ধান পান দমকলবাহিনী। পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
কেন এত দেরি হল দেহ উদ্ধারে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে ১৫ টি দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছলেও, বিল্ডিংটি পুরনো হওয়ায় ভিতরে ঢুকতেই পারছিলেন না দমকল। ফলে পকেট ফায়ারগুলি নেভানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। গোটা এলাকা ধোঁয়ায় ভরে যায়। এদিকে ঘিঞ্জি এলাকায় ইঞ্জিন বাড়ানোও প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। প্রথমে রোবট নিয়ে জল ছুঁড়ে পকেটগুলিতে আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে থাকে দমকল বাহিনী। তারপর ধাপে ধাপে ইঞ্জিন বাড়ানো হয়। কিন্তু কারখানার ভিতরে প্রবেশ করতে না পারায় সামগ্রিক ভাবে আগুন নেভানো মুশকিল হয়ে যায়। এই কারণেই দেরি। লকডাউনের মধ্যে কেন কারখানা চালানো হচ্ছিল, সেই নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশ।
