শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে হাজির হয়ে এমনটাই দাবি করলেন আদালত গঠিত অ্যাসেট ডিসপোজাল কমিটির (এডিসি) চেয়ারম্যান প্রাক্তন বিচারপতি দিলীপকুমার শেঠ।
তিনি জানান, বর্তমান ব্যবস্থায় মাসে ৩০০০০ আবেদনপত্রের মূল্যায়ন করে ১০ হাজার আমানতকারীদের টাকা দিতে পারবে এডিসি। AI নির্ভর উন্নত প্রযুক্তির (এআই) ব্যবহারের দ্রুত টাকা ফেরতের বিষয় কেন্দ্রের স্টক হোল্ডিং ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেডের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। তবে বর্তমানে ওয়েবসাইট উন্নত করতে তিন মাস সময় লাগবে।
advertisement
বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ এবং বিচারপতি উদয় কুমারের পর্যবেক্ষণ, ‘এআই শুধু একটি সাধনী। সব আমানতকারীদের কী করে সমানভাবে টাকা ফেরত দেবেন সেই বিষয় কি প্রক্রিয়া রয়েছে?’
বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের প্রশ্ন, ‘একজন আমানতকারীর যদি একের অধিক আমানতপত্র থাকে তখন তিনি বেশি টাকা পেয়ে যাবেন, বাকিদের কী হবে?” প্রাক্তন বিচারপতি এবং এডিসি কমিটির চেয়ারম্যান দিলীপকুমার শেঠের যুক্তি, সমস্ত তথ্য খতিয়ে এবং মূল্যায়ন করে একটি তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করেছে কমিটি। টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতি ধাপে আধার কার্ডের ভিত্তিতে আমানতকারীদের টাকা দেওয়া হবে। এক ধাপে একজন এক বারই টাকা ফেরত পাবেন। প্রতিটি আমানতপত্রের জন্য দশ হাজার দুশো টাকা দেওয়া হবে।’
আদালতের আগের নির্দেশ মতন অ্যাসেট ডিসপোজাল কমিটির (এডিসি) উপর ওঠা অভিযোগের তদন্তের রিপোর্ট জমা দেন সিবিআইয়ের আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী। তাঁর দাবি, সম্পূর্ণ তথ্য পেতে ফরেন্সিক অডিট করার প্রয়োজন রয়েছে। তবে এই কাজে দক্ষতা নেই তদন্তকারী সংস্থার তাই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে দল গটন করার আবেদন করেন আইনজীবী ধীরাজ। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, যেহেতু ২০২১ সালের পর আর অডিট হয়নি তাই এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন, আগামী শুক্রবার ১৯ সেপ্টেম্বর এই বিষয় সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।