নজরে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে সেই শৃঙ্খলায় বাধতে শিক্ষা আইনে একাধিক পরিবর্তন আনছে রাজ্য সরকার। দফতরের নয়া বিলে আনা হয়েছে একাধিক নতুন প্রস্তাব। গত বুধবারই ইটিভি নিউজ বাংলায় এই খবর সম্প্রচারিত হয়। প্রস্তাবিত এই বিলের কিছু বিষয় নিয়ে বিতর্ক তৈরির সম্ভাবনা আছে । যার মধ্যে অন্যতম, অধ্যাপক, উপাচার্যদের সম্পত্তির খতিয়ান পেশ। ছাত্র সংসদ নির্বাচন থেকে হাজিরা, সবক্ষেত্রেই এক নিয়ম আনতে তৎপর রাজ্য ৷
advertisement
উচ্চশিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের ব্যাখ্যা, প্রাইভেট টিউশন বন্ধ করতেই সম্পত্তির খতিয়ান পেশের এই ভাবনা। দেশের কয়েকটি নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সম্পত্তির খতিয়ানের বিষয়টি আইনে আছে। তারই ধাঁচে বিষয়টি নথিভুক্ত করতে চাইছে রাজ্য।
সম্পত্তির খতিয়ান পেশ
-----চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে কার কত সম্পত্তি আছে তার খতিয়ান পেশ করতে হবে উচ্চশিক্ষা দফতরে
-----কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, উপাচার্য, রেজিস্ট্রার-সহ অন্য আধিকারিকদের সম্পত্তির খতিয়ান জমা দিতে হবে
-----প্রতি বছর নতুন করে সম্পত্তির খতিয়ান পেশ করতে হবে
-----চাকরিরতদেরও নিজেদের সম্পত্তির খতিয়ান দিতে হবে
-----তবে এই ক্ষেত্রে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তা জমা দিতে হবে
অধ্যাপক ও অশিক্ষক কর্মচারিদের হাজিরার বিষয়টিও উচ্চশিক্ষা দফতরের নজরে। প্রস্তাবিত বিলে অনলাইন অ্যাটেনডেন্স আনার কথা বলা হয়েছে ৷ বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পাঞ্চ করা মাত্রই সরাসরি তা নথিবদ্ধ হয়ে যাবে উচ্চশিক্ষা দফতরে ৷ এর আওতায় আসবেন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, আধিকারিক, শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরা ৷
ছাত্র সংসদ নির্বাচন থেকে পেনশন, সবক্ষেত্রে এক নিয়ম আনতে তৎপর শিক্ষা দফতর। প্রস্তাবিত খসড়ায় বলা হয়েছে,
রাজ্যের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন এক নিয়মে হবে ৷ প্রস্তাবিত খসড়ায় লিংডো কমিশনের বেশ কয়েকটি সুপারিশ উল্লেখ করা হয়েছে ৷ তার মধ্যে ৭৫ শতাংশ হাজিরা না থাকলে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা যাবে না ৷ নির্বাচনে প্রার্থীও হওয়া যাবে না ৷ পরীক্ষার ফল ভাল হলে তবেই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া যাবে ৷ অধ্যাপকদের পেনশনও এবার সরাসরি উচ্চশিক্ষা দফতরের আওতায় আনা হচ্ছে ৷ বর্তমানে অধিকাংশ কলেজের পেনশন ব্যবস্থা কলেজগুলির অধীনেই নিয়ন্ত্রিত ৷ এবার তা কেন্দ্রীয়ভাবে উচ্চশিক্ষা দফতরের অধীনে আনা হচ্ছে ৷
প্রস্তাবিত বিলের খসড়া অনুমোদনের জন্য ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়েছে । খসড়া বিলের যাবতীয় বিষয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি কোনও সংশোধন করেন কিনা এখন সেদিকেই তাকিয়ে শিক্ষা জগৎ। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি অধিবেশনেই বিধানসভায় পেশ করা হবে বিলটি।
রিপোর্ট- সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়