কন্ডাকটর,হেলপার গ্রেফতার হয়েছে। তবে ড্রাইভার পলাতক। ঘটনাটি ঘটে দশমীর দিন রাত্রি দেড়টা নাগাদ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধর্মতলা থেকে এয়ারপোর্ট গামী ৪৬ নম্বর রুটের বাস যাচ্ছিল। বাসটি নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ পার হওয়ার পরে,যখন শিয়ালদহ উড়ালপুল ধরে এগোচ্ছিল। প্রথমেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্রিজের বাঁদিকে গার্ডওয়ালে ধাক্কা মারে। এরপর সেটা কোনওভাবে বাঁচিয়ে বাসটি সোজা সামনের দিকে এগোতে থাকে। সেই সময় শিয়ালদহ ফ্লাই ওভারের উপর দিয়ে হেঁটে একই পরিবারের ছয়জন মিলে ঠাকুর দেখতে যাচ্ছিল। বাসটি আবার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই ৬ জনকে ধাক্কা মারে এবং গার্ড ওয়ালে ধাক্কা মেরে বেশ খানিকটা সামনের দিকে এগিয়ে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন - শরীরের গড়নে লুকিয়ে বড় সত্যি, এতেই নাকি নির্ভর করে কেমন হবে চরিত্র! সহজ বিষয় মিলিয়ে নিন
বাসের ধাক্কাতেই অদিতি গুপ্ত ঘটনাস্থলেই মারা যায়। কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্টরা দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে চলে আসেন। ছয়জনকে তৎক্ষণাৎ পাশেই নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে। তাঁদের মধ্যে নন্দিনী প্রসাদ এবং রাহুল প্রসাদকে পিজি হাসপাতালে ট্রমা কেয়ারে স্থানান্তরিত করে।ভোরের দিকে এই দুজন মারা যান। নন্দিনী রাহুলের মামাতো বোন। শিবানী শ্যালিকা।
ওই রাতেই আর এক আহত নীলেশ গুপ্তাকে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে পরিবারের লোকজন। দুজন রাহাত গুপ্তা ও ঋষি কুমার গুপ্তাকে ফুলবাগানের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়।পরিবারের অভিযোগ রাতে হাসপাতালে ডাক্তার ছিল না। চিকিৎসায় গাফিলতি ছিল। খবর বাড়িতে আসার পর খিদিরপুর বাবুবাজার এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।খবর পেয়ে পরিবারের লোকেরা হাসপাতালে গিয়ে পৌঁছানোর পর তিনজনের মৃত্যুর খবর পায়।এলাকায় এখন শোকের ছায়া। অন্যদিকে দেহগুলির ময়না তদন্ত হয়েছে। পরিবার থেকে স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ,শহর কলকাতায় গাড়ির গতিবেগ ও নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ির গতি, প্রতি মুহূর্তে বিপদ ডেকে আনছে। তার জেরেই দশমীর গভীর রাতে বলি হল তিনটি জীবন।
SHANKU SANTRA
