#কলকাতা: বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সবাই কি মাস্ক পড়ছে? তা নিয়েই মূলত জানতে চাইছিল রাজ্য। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফে একটি সমীক্ষা করা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। সেখানেই দেখা গেছে ৫১ শতাংশের বেশি মানুষ মাস্ক পড়ছে। রাজ্যের ৬৫০ টি অঞ্চলের ওপর সমীক্ষা হয় বলেই সূত্রের খবর। হুগলি, বর্ধমান, দার্জিলিং থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি জেলাতেই এই সমীক্ষা হয়েছে কমবেশি অঞ্চল করে করে। সবথেকে বেশি হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা উত্তর ২৪ পরগনা এই জেলাগুলির অঞ্চলের ওপর সমীক্ষা করা হয়।
advertisement
রিপোর্টে বলা হচ্ছে মোট ৫১৯১৬ জন মানুষের ওপর এই সমীক্ষা করা হয়েছে। অর্থাৎ নজরদারি করা হয়েছে মাস্ক নিয়ে। সেখানে দেখা গিয়েছে মাস্ক পড়ছেন ২৬৮০০ জন। অর্থাৎ ৫১.৬২ শতাংশ। এরমধ্যে সঠিকভাবে অর্থাৎ নিয়ম মেনে ঠিকঠাক ভাবে মাস্ক পড়ছেন ১৮৩৪১জন। নবান্ন সূত্রে খবর ইতিমধ্যেই এই রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক দের। শুধু তাই নয় সমীক্ষাতে প্রায় ৪৫% এরও বেশি মানুষ না পড়ার মতো তথ্য উঠে এসেছে। আর তাই মঙ্গলবার মুখ্যসচিব একটি ভিডিও কনফারেন্স করেন জেলাশাসকদের নিয়ে। সেই ভিডিও কনফারেন্সে মাস্ক পরার প্রতি অতিরিক্ত নজরদারি করা হয় সেই বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।
নবান্ন সূত্রে খবর সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে সাধারণ মানুষ মাস্ক পড়লেও ঠিকঠাকভাবে মাস্ক পড়ছেন না। এই সংখ্যাটাও অনেক। হুগলির ২০টি অঞ্চল, বর্ধমানের ২৬ টি অঞ্চল, দার্জিলিং এর ২টি অঞ্চল, উত্তর ২৪ পরগনার ৬২ টি অঞ্চল, বসিরহাটের ৬টি অঞ্চল, মালদার ১৪ টি অঞ্চল, বাঁকুড়ার ২০টি অঞ্চল ,হাওড়ার ১৫২টি অঞ্চল, পুরুলিয়ার ৩৫টি অঞ্চল, মুর্শিদাবাদের ২১ টি অঞ্চল, উত্তর দিনাজপুরের ৪২ টি অঞ্চল, জলপাইগুড়ি ২টি অঞ্চল ,আলিপুরদুয়ার এর ৪টি অঞ্চল,কলকাতার ৩৪ টি অঞ্চল, আসানসোলের ২৯ টি অঞ্চল, বীরভূমের ৪টি অঞ্চল, রামপুরহাট এর ৫টি অঞ্চল, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১০৭ টি অঞ্চল, ডায়মন্ড হারবারের ৫৪ টি অঞ্চল, বিষ্ণুপুরের ৫টি অঞ্চল, পূর্ব মেদিনীপুরের একটি অঞ্চল নন্দীগ্রামের একটি অঞ্চল ঝাড়গ্রাম এর দুটি অঞ্চল পশ্চিম মেদিনীপুরের দুটি অঞ্চলের উপর সমীক্ষা করা হয়েছে। সমীক্ষার রিপোর্ট দেখে কিছুটা হলেও চিন্তিত নবান্ন। ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার মুখ্যসচিব জেলাশাসকদের বলেছেন জাতি করোনা মোকাবিলায় কোনরকম ঢিলেমি না দেওয়া হয়। আর এই সমীক্ষার পর চিন্তা যে আরও বাড়ল রাজ্যের তা নিয়ে অবশ্য কোনো সন্দেহ নেই।