এরপরেই অভিষেকের স্পষ্ট বার্তা, ‘‘আমি শপথ নিয়ে এসেছি, মানুষের মন নিয়ে, মানুষের পঞ্চায়েত গড়ে ফিরব। এতদিন যে ভাবে পঞ্চায়েত চলেছে তা হবে না। এটাই তৃণমূলের কথা। করতে পারলে করবেন, না পারলে ঘরে বসে যাবেন বা অন্য দলে চলে যাবেন।’’ অধিবেশনের মঞ্চ থেকে তিনি জানিয়েছেন, আমাদের এমন লোক দরকার যাঁদের লোভ নেই। যাঁরা মাথা উঁচু করে, মেরুদণ্ড সোজা রেখে লড়াই করতে পারে।
advertisement
একই সঙ্গে বিরোধীদের কড়া আক্রমণ করে অভিষেক বন্দ্যোপাোধ্যায় বলেন, " বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস এসে বলুক পঞ্চায়েতের প্রার্থী মানুষ ঠিক করবে। আসলে পঞ্চায়েত ওদের করে খাওয়ার জায়গা।২০১৮ সালে বাংলায় যা হয়েছিল, সেটা হবে না। বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারলে ১০০ শতাংশ আসনেই ভোট হবে।" এবারে তাঁর পাল্টা দাবি, ‘‘বিরোধীদের কেউ মনোনয়ন জমা না দিতে পারলে আমি এসে তাঁকে সাহায্য করব।’’
তৃণমূল সূত্রের খবর, এই কর্মসূচির মাধ্যমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জোর দিচ্ছেন দলের নিচুতলায়। সেই কারণেই সম্ভবত তিনি উল্লেখ করেছেন, "বুথ সভাপতিরা বহুবার বলেছেন, তাঁদের কথা কেউ শোনেন না৷ তাই সরাসরি তাঁদের কথা শুনতে এসেছি৷ কিছু মানুষের অসুবিধা হবে। যাদের মৌরসিপাট্টায় আঘাত হেনেছি। যাঁরা ভাবছে ১০টা লোক পাঠিয়ে, সুপারিশ করে রেসে এগিয়ে থাকব, তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে।"
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করিয়ে দিয়েছেন, বুথ সভাপতিরাই তাঁদের দলের সম্পদ। তাঁদের দাবি, এই ভোট হবে দুর্নীতি মুক্ত পঞ্চায়েত ভোট। অভিষেক করিয়ে দেন, এর আগে আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছে৷ তৃণমূল কংগ্রেস ২০১৯-২০২১ সালে সেই ভোটও জিতেছে।