পোস্টে তিনি জানান, একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে তিনি কলকাতা পুলিশের সিপি-র সঙ্গে কথা বলেছেন, তাঁকে অনুরোধ জানিয়েছেন, যে এদিনের ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত প্রত্যেক অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ করতে হবে৷ সে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় যা-ই হোক ন কেন৷
চিকিৎসকদের বিক্ষোভকে যুক্তিসঙ্গত বলে অভিষেক জানান, যে কোনও সরকারের কাছ থেকে এইটুকু অন্তত তাঁরা আশা করে থাকেন৷ তাঁদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষাকে নিশ্চিত করতে হবে৷
advertisement
আরও পড়ুন: আর জি করে রক্তাক্ত পুলিশের উর্দি! ঘড়ির কাঁটা থমকে ১২টা ৩৫ মিনিটে, তছনছ জরুরি বিভাগ
গত বুধবার স্বাধীনতা দিবসেগর আগের রাতে ‘মেয়েদের রাত দখলে’র কর্মসূচি ঘিরে কলকাতা থেকে জেলা এমনকি দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখান লক্ষ লক্ষ মানুষ৷ তবে সোদপুর, আর জি কর, শ্যামবাজারের মতো জায়গায় ছড়ায় উত্তেজনাও৷
অভিযোগ, আর জি করে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ভিতরে ঢুকে পরে একদল বিক্ষোভকারী৷ তাণ্ডবে থমকে যাওয়া একটি ঘড়িতে দেখা গিয়েছে সেটির কাঁটা রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে থমকে গিয়েছে৷ অর্থাৎ, সেই সময়েই ঘটনা ঘটেছিল বলে মনে করা হচ্ছে৷ তাণ্ডবকারীদের কয়েক জনের হাতে রড এবং লাঠি ছিল বলে অভিযোগ। জরুরি বিভাগের বাইরের কোলাপসিবল গেট ভেঙে উপড়ে ফেলা হয়। ভিতরে ঢুকে সব কিছু লন্ডভন্ড করে দেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: রাত দখলের রাতে আরজি করে হামলা! জোর করে ভিতরে ঢুকে হাসপাতালে ভাঙচুর বহিরাগতদের
তছনছ হয়ে গিয়েছে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টার, এইচসিসিইউ (হাইব্রিড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), সিসিইউ (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), ওষুধের স্টোররুমও। ভাঙচুর করা হয় আরজি করের পুলিশ ফাঁড়িও। ভেঙে ফেলা হল হাসপাতালের ভিতরে থাকা আন্দোলনকারীদের মঞ্চ৷ বিক্ষোভকারীদের কারও পরনে হাফপ্যান্ট, কারও স্যান্ডো গেঞ্জি ছিল বলে অভিযোগ৷
এদিকে আর জি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুরের ঘটনায় কারা জড়িত রয়েছে, তা নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা৷ বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার গোটা ঘটনার পিছনে শাসকদলের হাত দেখছেন৷ শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মামলার তদন্তভার যেহেতু সিবিআইয়ের হাতে গিয়েছে, তাই তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্য এ ভাবে হামলা চালানো হয়েছে আর জি করে। অন্যদিকে, এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে মিশে থাকা বাম-বিজেপি সমর্থকই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে৷