বুধবার বিকেলে তাঁর বাড়ি যান অভিষেক। পরিবারের লোকেদের সান্ত্বনা দিয়ে সর্বতোভাবে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘‘আপনারা ভয় পাবেন না। বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস আছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেঁচে থাকতে আপনাদের কেউ বাংলাদেশে পাঠাতে পারবে না।’’ তীব্র আক্রমণ করে বলেন, ‘‘এই মৃত্যুর জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার ও কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন।’’ তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিষেক।
advertisement
আরও পড়ুন– দুর্বল ‘মন্থা’, তবে নিম্নচাপের বৃষ্টি চলবে বঙ্গে, আগামী ক’দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে?
এর পাশাপাশি, তিনি তৃণমূল নেতা-কর্মীদেরও নির্দেশ দিয়েছেন মানুষের পাশে থাকার। অভিষেক বলেন, আগামী ৪ নভেম্বর থেকে রাজ্যে এসআইআরের কাজ শুরু হবে, আপনারা কেউ ভয় পাবেন না। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা ক্যাম্প করে আপনাদের সাহায্য করবে। আমরা সবাই রাস্তায় থাকব। আমিও থাকব। কোনও সমস্যা হলে আপনারা পঞ্চায়েত সদস্য, পঞ্চায়েত অফিস, শহর এলাকায় পুরপিতা, পুরসভায় বা দলীয় দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তাঁরা আপনাদের সবরকমের সাহায্য করবেন। এর পরই তোপ দেগে বলেন, বিজেপি নেতারা প্রচারে এলে তাদের বেঁধে রেখে বলুন আপনার বাপ-ঠাকুরদার বার্থ সাটিফিকেট নিয়ে আসুন !
বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ তথা দমদম-বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থ ভৌমিক, পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ। এদিন আরও একটি নথি পাওয়া গিয়েছে, যেখানে প্রদীপ কর লিখে গিয়েছেন তাঁর সব নথি থাকলেও বোন ও ভাইদের সব নথি নেই। ফলে এনআরসি হলে তাদের কী হবে! এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চাপানউতোর চলছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, যেকোনও মৃত্যু অত্যন্ত খারাপ। এবং সেই মৃত্যুর ইনভেস্টিগেশন করা উচিৎ। যে কথা বলা হচ্ছে সেটাই কি সত্যিকারের কারণ। যখন হর গোবিন্দ দাস, চন্দন দাস মারা গেল তখন তো অভিষেক গেলেন না। শুধুমাত্র ভয়ের পরিবেশ, মানুষের মনের টেনশন তৈরি করে, মানুষকে বিপদে ফেলার কাজ তৃণমূল কংগ্রেস করছে। ওই সুইসাইড নোটটা কে লিখেছে? কার লেখা? আর যে এনআরসির কথা বলা হচ্ছে সেই এনআরসি তো লাগুই হয়নি। আমি তো কমিশনকে বলব দিল্লিতে এফআইআর করে রাখতে তৃণমূল কংগ্রেস কতটা ‘ভিনডিক্টিভ’ এবং ‘হিংসাত্মক’ সবাই জানে।
