এদিন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘অভিষেক তো প্রতিহিংসার রাজনীতির টার্গেট। এ তো বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির রাজনৈতিক নেতাদের বক্তৃতা থেকেই প্রমাণিত। ওরা অভিষেককে ভয় পায়।’’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপি ভয় পায়, তাই বার বার তাঁকেই আক্রমণ করে, কয়লা পাচার-কাণ্ডে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে পাঠানো ইডির সমন প্রসঙ্গে এমনই বার্তা তুলে ধরছে তৃণমূল কংগ্রেস।
advertisement
এদিন সকালেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের নোটিস পান অভিষেক। নোটিসে বলা হয়েছে, রাজ্যে কয়লা পাচারের অভিযোগের যে তদন্ত করছে ইডি, সেই সূত্রেই তারা অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। নোটিসে আগামী শুক্রবার ২ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার মধ্যে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে আসতে বলা হয়েছে তৃণমূলের সাংসদ তথা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। এমন কিছু যে হতে চলেছে সেই আশঙ্কা ২৪ ঘণ্টা আগেই করেছিলেন অভিষেক।
আরও পড়ুন-এবার Whatsapp-এ এন্ড-টু-এন্ড শপিং! JioMart দিচ্ছে সুবিধা; স্রেফ একটা Hi লিখে পাঠালেই হল
গত কাল তৃণমূলের ছাত্রপরিষদের প্রতিষ্ঠাদিবসের সভার মঞ্চে অভিষেক বলেছিলেন, ‘‘আমার কথা লিখে নিন, আজকের এত বড় সভার পর, চার-পাঁচ দিনের মধ্যে ওরা আবার কিছু একটা করবে।’’ ছাত্র সমাবেশের বক্তৃতায় তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, ‘‘এই তো আজকের সভায় অভিষেক খুব ভাল বক্তৃতা করেছে। এ বার হয়তো আজ অথবা কাল ওকে কোনও সংস্থা নোটিস ধরাবে।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সঙ্গে আরও বলেন, ‘‘অভিষেককে তো আগেও দু’বার নোটিস ধরিয়েছে। এমনকি, নোটিস ধরিয়েছে ওর বউকেও। কিন্তু এ বার তো মনে হয় ওর দু’বছরের ছেলেকেও নোটিস ধরাবে। ওকেও নোটিস ধরিয়ে দেখুক দু’বছরের ছেলেটাও কতটা শক্ত হয়েছে।’’ বস্তুত, মমতা এবং অভিষেকের অনুমান সত্যি করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিষেকের কাছে নোটিস এল কেন্দ্রীয় সংস্থার।
আরও পড়ুন- চলছে বঙ্গ বিজেপির পাঠশালা, আগামিকাল হেডমাস্টারের ভূমিকায় বিএল সন্তোষ
কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘এটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে টার্গেট করে পুরদস্তুর রাজনৈতিক চক্রান্ত চলছে। বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই দিল্লির নেতারা এসে এবং বিজেপির নেতারা এসে আমাদের তরুণ নেতাদের টার্গেট করছেন। ওনারাই যে ভাবে বলে দেন, এর পর ওর বাড়ি, তার পর তার বাড়ি, তাতে তো বোঝাই যায় যে বিজেপি নেতারাই এইসব করাচ্ছেন।’’