বিকাশ ভবনের সামনে পুলিশের লাঠিচার্জ নিয়ে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”আমি কিছু ফুটেজ দেখেছি। কাউকে দায়ী করছি না। জোর জবরদস্তি গেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আন্দোলন কখনও উগ্র হয় না, হিংস্র হয় না। গান্ধীজি অহিংসার কথা বলেছিলেন।”
দিল্লিতে তাঁদের প্রতিবাদের প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ”আমরা ১০০ দিনের কাজ নিয়ে দিল্লিতে আন্দোলন করেছি। বাংলা থেকে ১০ হাজার জন গিয়েছিল। আমাদের মতো জনপ্রতিনিধিদের, মহিলা জনপ্রতিনিধিদের এবং আদিবাসী জনজাতির প্রতিনিধিদের চুলের মুঠি ধরে বের করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা অহিংসার পথ অবলম্বন করে আন্দোলন করেছি। পরের দিন রাজভবনের সামনে এসে ধরনা দিয়েছি। আন্দোলন করার অধিকার সকলের রয়েছে। কিন্তু আন্দোলের নামে বলপ্রয়োগ করে কোনও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করে, গেট ভেঙে, জোর জবরদস্তি করলে আন্দোলনের সারমর্ম নষ্ট হয়ে যায়।”
advertisement
আরও পড়ুন: চাকরি বাতিল…ফিরতে চান পুরনো চাকরিতে, গুচ্ছ গুচ্ছ আবেদন জমা পড়ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে
রাজ্য সরকারের বিষয়ে স্পষ্ট করেই তিনি জানান, ”রাজ্য সরকার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। এই মামলাটি এখনও বিচারাধীন। বিচার ব্যবস্থার উপর ভরসা রাখুন, আজ নয় কাল বিচার হবেই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস।”
সম্প্রতি বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনরত চাকরিহারা শিক্ষকদের অবস্থান মঞ্চে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে গিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে বিধানসভার অধিবেশন অচল করে দেওয়া হবে।
সোমবার উত্তরবঙ্গে রওনা হওয়ার আগে বিমানবন্দরে এই সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু বলেছেন, ‘‘আমি চাকরিহারা শিক্ষকদের অবস্থানমঞ্চে গিয়ে বলে এসেছি, বিরোধী দলনেতা কোনও একটি রাজনৈতিক দলের নয়। রাজ্য সরকার এবং সরকারি দলের দ্বারা আক্রান্ত সকলের প্রতিনিধি তিনি। তাঁরা যদি আমাদের সুনির্দিষ্ট কোনও প্রস্তাব দেন, সেই বিষয়ে আমি কথা বলে তাঁদের জানাব।’’