এ দিন সকাল ১১টায় নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে পৌঁছন অভিষেক৷ তিনি যখন সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে আসেন, তখন ঘড়ির কাঁটায় প্রায় রাত ৮.৪৫৷
আরও পড়ুন: ‘বললেই পদত্যাগ করব, বই লিখলে বেস্ট সেলার হবে!’ মদনের নিশানায় কে? চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল
সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়েই অভিষেক দাবি করেন, জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাস শূন্য৷ আমারও সময় নষ্ট৷ যাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তাঁদের সময়ও নষ্ট৷ এর পরেই অভিষেক নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারীকে৷ বিস্ফোরক দাবি করে অভিষেক বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় যে এজেন্টদের নাম আমায় দেখিয়ে জিজ্ঞেস করা হল চিনি কি না, তাঁদের ৯০ শতাংশের ঠিকানা পূর্ব মেদিনীপুর এবং মুর্শিদাবাদের৷ তাহলে দলের তরফে এই দুই জেলার দায়িত্বে কে ছিল?
advertisement
সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীর নাম করেই অভিষেক বলেন, শুভেন্দু অধিকারী ক্যামেরার সামনে টাকা নিয়েছেন৷ সেই ফুটেজ কি সিবিআই-এর কাছে নেই? কুন্তল ঘোষের চিঠির ভিত্তিতে আমাকে যদি ডেকে পাঠানো হয়, তাহলে সুদীপ্ত সেনের চিঠির ভিত্তিতে তিন জনকে ডেকে পাঠানো হোক৷ তাহলে সিবিআই-এর নিরপেক্ষতা প্রমাণ হবে৷
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠির ভিত্তিতেই এ দিন অভিষেককে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই৷ কুন্তলের দাবি ছিল, অভিষেকের নাম বলার জন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সির অফিসাররা তাঁকে চাপ দিচ্ছে৷ কুন্তল যেদিন এই চিঠি দেন, তার আগেই শহিদ মিনারের সভা থেকে অভিষেক এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন৷ এ দিন সেই প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূল সাংসদ বলেন, আমি তো শহিদ মিনারের সভায় কুন্তল ঘোষের নাম নিইনি৷ মদন মিত্র আর কুণাল ঘোষের কথা বলেছিলাম৷ বলেছিলাম ওনাদের আমার নাম নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে৷ সংবাদমাধ্যম গিয়ে কুন্তল ঘোষকে প্রশ্ন করেছিল৷ তখন সে আমার নাম বলেছে৷ তাহলে এর দায় কী আমার?
এ দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন অভিষেক৷ তিনি বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির দলিল পেয়ে তল্লাশি হয়েছিল৷ তাহলে প্রসন্ন রায়ের বাড়িতে দিলীপ ঘোষের দলিল পেলে কেন দিলীপ ঘোষকে ডেকে পাঠানো হবে না? দিলীপ ঘোষ বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বলে? বিজেপি করলে আইন এক আর আমি তৃণমূল করি বলে আলাদা আইন?’
অভিষেক এ দিনও দাবি করেছেন, নবজোয়ার যাত্রায় সাধারণ মানুষের বিপুল সাড়া পেয়েই তাঁর কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টি করতে এই সিবিআই তলব। তাঁর দাবি, আগামী ২২ মে থেকে বাঁকুড়ায় ফের কর্মসূচি শুরু হলে আজকের ঘটনার পর মানুষের উৎসাহ আরও বাড়বে৷