এর পাশাপাশি, নারদা কাণ্ডের জন্য নাম না করেই অভিষেককেই দায়ী করেছেন প্রাক্তন বিচারপতি৷ অভিষেক নিজের দলের নেতাদের বদনাম করতেই নারদার স্টিং অপারেশন করিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷
অভিষেককে আক্রমণ করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘একটা লোক আছে তালপাতার সেপাই৷ তাঁকে তাঁর দলের সবাই সেনাপতি বলে ডাকে৷ তাঁর খুড়তুতো শ্বশুরের অ্যালকেমিস্ট বলে একটা কোম্পানি ছিল৷ তাঁকে ব্যবহার করে এই নারদা কাণ্ড করানো হয়েছিল, কোনও স্টিং অপারেশন হয়নি৷ জানি না তিনি কোন যুদ্ধে জিতেছেন৷ সেই তালপাতার সেপাই রাজনীতিতে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন৷ তখন নিজের দলের সিনিয়র নেতাদের বদনাম করতেই তিনি এসব করিয়েছিলেন৷ কোনও স্টিং অপারেশন হয়নি৷ কেউ কেউ সেই চক্রান্তের শিকার হয়ে এখনও সেই তালপাতার সেঁপাইকেই সেনাপতি বলে ডাকছেন৷’
advertisement
তাঁকে বিজেপি অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রার্থী করলে তিনি রাজি হবেন কি না, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সরাসরি অভিষেককে চ্যালেঞ্জ করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘ভয়ে কি পালিয়ে যাবো? আমি দেখিয়ে দেব তাঁর দুর্বত্ত দলকে কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়৷ ডায়মন্ড হারবারে সেই দুর্বৃত্ত দলের মোকাবিলা করেই আমি তাঁকে লক্ষ লক্ষ ভোটে হারিয়ে দেখিয়ে দেবো৷’
পাল্টা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই হুঁশিয়ারির জবাব দিয়ে তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তী বলেন, আপনার যদি ক্ষমতা থাকে ডায়মন্ড হারবারে ভোটে দাঁড়িয়ে দেখান৷ ডায়মন্ড হারবারের মানুষ ওনার জমানত বাজেয়াপ্ত করে দেখিয়ে দেবে৷
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এ দিনই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন৷ এর পর তিনি রাজনীতিতে আসার ঘোষণা করেন তিনি৷ নিজেই জানান, বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন৷ তবে প্রাক্তন বিচারপতি দাবি করেছেন, তৃণমূলই তাঁকে অপমানজনক কথাবার্তা বলে তাঁকে রাজনীতিতে আসার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে৷