এদিন সারের মূল্য বৃদ্ধি ও শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে একটি মিছিল করা হয় সংগঠনের তরফে। উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা আবদুল মান্নান। শিক্ষা এবং কৃষি ব্যবস্থার উপর আঘাতের প্রতিবাদে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামা হয়েছে বলে যুব কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: অবশেষে পৌরসভার পানীয় জল পৌঁছল শতাব্দী প্রাচীন মজিলপুরের দত্তবাড়িতে
যুব কংগ্রেসের সভাপতি আজাহার মল্লিকের বলেন, 'আমি নিজে কৃষক পরিবারের সন্তান, আমি নিজেই আক্রান্ত কারণ সারের দাম দ্বিগুন হয়েছে, কীটনাশকের দাম বেড়েছে, বিদ্যুতের বিল লাগাম ছাড়া হয়েছে। কৃষকের দুরাবস্থার সীমা নেই। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মন্ত্রীদের লোভে বাংলার পড়ুয়ারা আক্রান্ত। অযোগ্য শিক্ষকের হাতে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ শেষ হয়ে গেছে। যুব কংগ্রেসের অঙ্গীকার- সমস্ত যোগ্য চাকুরিপ্রার্থীদের পাশে আমরা সবরকম ভাবে থাকব।'t
আরও পড়ুন: পুলিশ যখন পাল্টে দিল জীবন, বিমার টাকা পেয়ে আনন্দে ভাসছে মহম্মদ বাজারের মামনি
মিছিলে প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, 'বিজেপি এবং তৃণমূলের নকল যুদ্ধ সারা বাংলার মানুষ বুঝতে পেরে গেছে। আদালতের চাপে সিবিআই তদন্ত করছে ঠিকই, কিন্তু সেট-আপ এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের চাপে সিবিআই ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়েছে।' মিছিলে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন যুব কংগ্রেস সভাপতি অমিতাভ চক্রবর্তী এবং কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক।
তাঁরা জানিয়েছেন, যুব সংগঠনের তরফে রাজ্যজুড়ে লাগাতার কর্মসূচি করা হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ইতিমধ্যেই সব দলের তরফে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেসের তরফেও লাগাতার কর্মসূচি নেওয়ার কথা বলছেন নেতৃত্ব। তবে যেভাবে যুব কংগ্রেসের কর্মসূচিতে আবদুল মান্নানকে সামনের সারিতে নিয়ে আসা হলো। তাতে আগামী দিনে তাঁকে সামনে রেখে বিধান ভবন নতুন কোনও পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।