জোড়াবাগানের অন্তর্গত মহর্ষি দেবেন্দ্র রোডের একটি বহুতলে ভাড়া থাকতেন রাহুল। এক মাস আগে সপরিবারে এই বাড়িটিতে ভাড়া থাকতে আসেন তিনি। ভাড়া বাড়িটির ৫ তলায় ভাড়া থাকতেন রাহুল ও তার পরিবার। বাড়িটির জলের সাপ্লাইয়ে কোনও সমস্যা হওয়ার কারণে সম্প্রতি বাড়ির নিজস্ব রিজার্ভারের জল ব্যবহার করতে পারছিলেন না তাঁরা। সেই জায়গায় পুরসভার কলে পাম্প লাগিয়ে নিজেদের তলায় জল তুলে নিতেন বাসিন্দারা।
advertisement
শুক্রবার সকালে রাহুল তাদের বাড়ির পাম্পটি প্রস্তুত করে বিদ্যুতের কানেকশন অন করেন। কিন্তু সেই মুহূর্তে বিদ্যুৎ থাকা সত্ত্বেও পাম্পটি কাজ করেনি। কী হয়েছে বুঝতে না পেরে রাহুল নীচে গিয়ে পাম্পটি চেক করতে যান। সেই সময় বিদ্যুতের তার নিয়ে পরীক্ষা করতে গেলে তৎক্ষণাৎ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি।
আরও পড়ুন: এগরোল খেতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি! অকালেই ঝরে গেল একাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রের প্রাণ
প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়েরা৷ কিন্তু, তাতেও শেষরক্ষা হয়নি৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া মাত্রই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: হুবহু অযোধ্যার রাম মন্দির! তা-ও আবার আমাদের রাজ্যেই, তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো সুন্দর
অসাবধানতা বশত বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করে বিদ্যুৎবাহী তারে হাত দেওয়ার ফলেই তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিশের। দেহের ময়নাতদন্তের পরে তা তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে। ঘটনার পরে সিইএসসি আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। গোটা বহুতলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রেখে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখেন তাঁরা।