ঘড়িতে তখন সকাল দশটা৷ কোনও সিঁড়ি বা মই ব্যবহার না করে ,পুরোপুরি নিজে বুদ্ধিতে ছাদে ওঠেন সোয়েল। সকলে তাকে নেমে আসতে অনুরোধ জানালেও বরফ গলেনি৷ বরংপুলিশকেই মারার হুমকি দেয় সোহেল৷ আত্মহত্যার হুমকিও দেয় সে৷
ঘটনাস্থলে আসে দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা৷ কিন্তু ছাদে থাকা জলের ট্যাঙ্ক ফেলে দিয়ে নতুন বিপত্তি বাধায় সোহেল। সে চিৎকার করে বলতে থাকে, ‘‘ দিদির সঙ্গে দেখা করব।’’
advertisement
শুরু হুমকি দেওয়াই নয়, জেরের মধ্যে অনেক বে-আইনি কাজের কথাও বলতে থাকে ওই বন্দি৷ পুলিশ মই লাগানোর প্রস্তুতি নিলে ইট ছুঁড়তে শুরু করে সে। অবশেষে দুপুর তিনটের কিছু সময় পরেই ছাদ ঘিরে ফেলে পুলিশ৷ দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ নেমে আসেন মহম্মদ সোহেল। এই সময়ের মধ্যে ধ্যান করা, ঘুমনো কিছুই বাকি রাখেনি সোহল৷
তবে এদিনের ঘটনায় জেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ইঠতে শুরু করেছে৷ এই বিষয়ে জেল কতৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷
Susobhon Bhattacharya