আরও পড়ুন: 'ঘটিবাটি সবই যাবে...' বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ! নিশানা করলেন কাকে? তীব্র আলোড়ন
চিঠিতে প্রশিক্ষকের আরও দাবি,' তিনি থাকলে দুই ছাত্রকে দ্বিতীয় বার জলে নামতে দিতেন না'। কেন ওই প্রশিক্ষক ছিলেন না, তিনি কর্তব্যে এমন গাফিলতি কী ভাবে করলেন? তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। চিঠিতে মৃত ছাত্রের পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা তাঁর নেই। একথা লিখে জনৈক প্রশিক্ষক বলেন, 'যদি তাঁরা কারও বিরুদ্ধে কোনো গাফিলতির অভিযোগ করেন। তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে করতে পারেন। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই মৃত ছাত্রের পরিবারকে লেখা প্রশিক্ষকের সেই চিঠি তদন্তকারীদের হাতে তুলে দিয়েছে মৃত ছাত্রের পরিবার।
advertisement
আরও পড়ুন: মণিপুর থেকে বাংলাদেশে হচ্ছিল পাচার, কিন্তু এ কী মিলল! বালুরঘাটে মারাত্মক কাণ্ড
রবীন্দ্র সরোবরে ২১ মে শনিবার সন্ধ্যায় নিময়মতো চলছিল রোয়িং শেখার ক্লাস৷ প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, নৌকায় ছিল ৪ জন৷ বিকেল সাড়ে পাঁচটার সময় রোয়িং করার মধ্যেই শুরু হয় কালবৈশাখী৷ তাতেই ঘটে বিপর্যয়৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঝড়ের তাণ্ডবে নৌকাটি সরোবরের জলে গোল হয়ে ঘুরতে থাকে৷ নৌকো থেকে জলে পড়ে গিয়েছিলেন ৪ জনই৷ ২ জন নিজেরাই কোনওরকমে জল থেকে উঠতে সক্ষম হন৷ কিন্তু দুই রোয়িং শিক্ষার্থী পুষ্পেন সাধুখাঁ ও সৌরদীপ চট্টোপাধ্যায় জল থেকে উঠতে পারেনি৷ পরে ঘটনাস্থলে পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দল দীর্ঘ ক্ষণের চেষ্টায় উদ্ধার করে দুই কিশোরকে হাসপাতালে পাঠায়৷ পুষ্পেনকে পাঠানো হয় নিকটবর্তী বেসরকারি হাসপাতালে৷ তার বাবা পীযূষ সাধুখাঁ উল্টোডাঙা ট্রাফিক গার্ডের অ্যাডিশনাল ওসি৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ১৪ বছর বয়সি পুষ্পেনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷ অন্যদিকে আর এক রোয়িং ছাত্র সৌরদীপকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে৷ তাকেও মৃত বলে ঘোষণা করা হয়৷ তবে দুর্ঘটনা ঘটার মাসখানেক পর জনৈক প্রশিক্ষকের লেখা চিঠিকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ।
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী