প্রসঙ্গত, বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই অশান্তি ছড়িয়েছে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে। প্রায় সব রাজনৈতিক দলেরই কর্মীরা খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ দলগুলির। ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক হিংসার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাঁর কাছে ফোন করে পরিস্থিতি জানতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নেওয়ার পর বুধবারই রাজ্যের পরিস্থিতি জানতে চেয়ে কড়া ভাষায় চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। হিংসার ঘটনা রুখতে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ করছে, চিঠিতে তাও জানতে চেয়েছে অমিত শাহের মন্ত্রক। কিন্তু সেই চিঠি পর কয়েক ঘণ্টাও কাটল না, রাজ্যে সরাসরি দল পাঠিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। আর তাতেই রাজ্য বনাম কেন্দ্র সংঘাত নতুন মোড় নিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
advertisement
যদিও দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বারবার রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী অশান্তি ছড়ালে দল নির্বিশেষে কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ভোট পরবর্তী হিংসার ক্ষেত্রে বিজেপির জেতা জায়গাগুলিতেই বেশি অশান্তি হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'BJP নিজেদের পরাজয় মেনে নিতে পারছে না। তাই এসব করছে। এটা রাজনৈতিক নাটক। আমাদের কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে, বিজেপি মিথ্যা বলছে। ফেক নিউজ ছড়াচ্ছে। বাংলার মহিলাদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে। নির্বাচনের সময় সবাই বাংলায় এসে করোনা ছড়িয়েছে।'
এর পরপরই কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলের বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। প্রসঙ্গত পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবিও তুলেছে বিজেপির বহু নেতা। সেই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে আসা রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতকে আরও কয়েক গুণ বাড়াতে পারে বলেই আশঙ্কা।