ছিন্নমস্তা রূপে মা কালীকে পুজো করার জন্য অবশ্য সাধারন পুরোহিত দিয়ে পুজো করা যায় না। কেননা এই ক্লাবের তান্ত্রিক রূপে মাকে পুজো করা হয়। আর সেই জন্যই তারাপীঠ থেকে তান্ত্রিক এনে পুজো করা হয় প্রত্যেকবারই। গত কয়েক বছর ধরেই একজন নির্দিষ্ট তান্ত্রিক পুজো করে আসছেন চেতলার ৮৬ পল্লী ক্লাব এ। ছিন্নমস্তার উঠে মাকে যেখানে একদিকে পুজো করে এই ক্লাব অন্যদিকে আবার পাঠা বলি ও হয় এখানে। দীর্ঘদিন ধরেই কালীপুজোর দিন এখানে পাঠাবলী হয়ে থাকে। তাই এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। পাঠা বলির পাশাপাশি চাল কুমড়ো বলিও দেওয়া হয়। সামগ্রিকভাবে পূজা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ৮৬ পল্লী ক্লাব এর পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক কুনাল বিশ্বাস বলেন " পূজা চলাকালীন সময় আমাদের এখানে পাঠা বলি হয়। আমরা সাধারণত বাইরের কাউকে ভেতরে ঢুকতে দিই না। শুধুমাত্র আমাদের ক্লাবে যারা সকাল থেকে উপোস করে থাকেন তারাই পুজোর সময় প্যান্ডেলের ভেতর থাকতে পারেন।"
advertisement
দীর্ঘদিন ধরে ক্লাবের সদস্যরা ছিন্নমস্তা রূপে মা কালীকে পুজো করার জন্য এখানকার সদস্যদের একটি বিশ্বাসও তৈরি হয়েছে। ক্লাব সদস্যদের বিশ্বাস ছিন্নমস্তা রূপে মাকে দীর্ঘদিন ধরেই পুজো করে এখানে অনেক সদস্যদের নতুন চাকরি হয়েছে, কারণ আবার নতুন বাড়ি হয়েছে,আবার কারোর কারোর ব্যবসায় অনেক শ্রীবৃদ্ধি ও ঘটেছে। তাই এখানে নিষ্ঠা সহকারে মা কালীর পুজো করেন ক্লাব সদস্যরা। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক বলেন " ছিন্নমস্তা রূপে মা কালীকে পুজো করার পর পর এখানে প্রচুর সদস্যদের অনেকে উপকার পেয়েছেন। এটা আমাদের বিশ্বাস মা কালীকে এইভাবে পুজো করলে আমরা অনেক কিছু শক্তি পাই ভরসা পাই অনেক জায়গা আমাদের কাছে খুলে যায়। অনেকেই নতুন চাকরি পেয়েছেন অনেকেরই নতুন বাড়ি হয়েছে।" শনিবার রাত এগারোটা থেকে মা কালী পুজো শুরু হবে এখানে। ভোর পাঁচটা পর্যন্ত পুজো হবে। সব মিলিয়ে ছিন্নমস্তা রূপে মা কালীকে পুজো করতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে চেতলার এই ক্লাবের।
SOMRAJ BANDOPADHYAY