TRENDING:

দীর্ঘদিন ধরে কলকাতার এই ক্লাবেই ছিন্নমস্তা রূপে মা কালী পূজিতা হন, কোথায় জেনে নিন...

Last Updated:

দশমহাবিদ্যার এক অন্যরূপ এই ছিন্নমস্তা। গত কয়েক বছর ধরেই মা কালীকে এই রূপেই পুজো করে আসছেন দক্ষিণ কলকাতার এই ক্লাব।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: দীর্ঘদিন ধরেই মা কালীকে ছিন্নমস্তা রূপে পুজো করে আসছে দক্ষিণ কলকাতার চেতলার ৮৬ পল্লী ক্লাব। অর্থাৎ এখানে দেখা যায় মস্তক ছিন্ন হয়ে হাতে রয়েছে মায়ের মস্তক। সাধারণত বলা হয় দশমহাবিদ্যার এক অন্যরূপ এই ছিন্নমস্তা। গত কয়েক বছর ধরেই মা কালীকে এই রূপেই পুজো করে আসছেন দক্ষিণ কলকাতার এই ক্লাব। ছিন্নমস্তা রূপে পুজো করতে হলে মানতে হবে একাধিক নিয়মরীতি। নিয়ম নীতি পালন করতে হয় বলেই ক্লাবের তরফ এ একাধিক বিধিনিষেধ জারি আছে। পূজা চলাকালীন সময় শুধুমাত্র ক্লাবের সদস্যরা ই প্যান্ডেলের ভেতরে ঢুকতে পারবেন। তবে সাধারণত পূজা চলাকালীন সময় মহিলারা ভিতরে ঢুকেন না। অন্তত এটাই নিয়ম নীতি হয়ে আসছে ক্লাবের। শুধু তাই নয় ক্লাবের সব সদস্য অর্থাৎ সব পুরুষ সদস্যই ভেতরে ঢুকতে পারবেন না। হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন যারা সকাল থেকে উপোস করে থাকেন তারাই শুধুমাত্র পুজো চলাকালীন সময়ে প্যান্ডেলের ভেতরে ঢুকতে পারেন।
advertisement

ছিন্নমস্তা রূপে মা কালীকে পুজো করার জন্য অবশ্য সাধারন পুরোহিত দিয়ে পুজো করা যায় না। কেননা এই ক্লাবের তান্ত্রিক রূপে মাকে পুজো করা হয়। আর সেই জন্যই তারাপীঠ থেকে তান্ত্রিক এনে পুজো করা হয় প্রত্যেকবারই। গত কয়েক বছর ধরেই একজন নির্দিষ্ট তান্ত্রিক পুজো করে আসছেন চেতলার ৮৬ পল্লী ক্লাব এ। ছিন্নমস্তার উঠে মাকে যেখানে একদিকে পুজো করে এই ক্লাব অন্যদিকে আবার পাঠা বলি ও হয় এখানে। দীর্ঘদিন ধরেই কালীপুজোর দিন এখানে পাঠাবলী হয়ে থাকে। তাই এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। পাঠা বলির পাশাপাশি চাল কুমড়ো বলিও দেওয়া হয়। সামগ্রিকভাবে পূজা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ৮৬ পল্লী ক্লাব এর পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক কুনাল বিশ্বাস বলেন " পূজা চলাকালীন সময় আমাদের এখানে পাঠা বলি হয়। আমরা সাধারণত বাইরের কাউকে ভেতরে ঢুকতে দিই না। শুধুমাত্র আমাদের ক্লাবে যারা সকাল থেকে উপোস করে থাকেন তারাই পুজোর সময় প্যান্ডেলের ভেতর থাকতে পারেন।"

advertisement

দীর্ঘদিন ধরে ক্লাবের সদস্যরা ছিন্নমস্তা রূপে মা কালীকে পুজো করার জন্য এখানকার সদস্যদের একটি বিশ্বাসও তৈরি হয়েছে। ক্লাব সদস্যদের বিশ্বাস ছিন্নমস্তা রূপে মাকে দীর্ঘদিন ধরেই পুজো করে এখানে অনেক সদস্যদের নতুন চাকরি হয়েছে, কারণ আবার নতুন বাড়ি হয়েছে,আবার কারোর কারোর ব্যবসায় অনেক শ্রীবৃদ্ধি ও ঘটেছে। তাই এখানে নিষ্ঠা সহকারে মা কালীর পুজো করেন ক্লাব সদস্যরা। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক বলেন " ছিন্নমস্তা রূপে মা কালীকে পুজো করার পর পর এখানে প্রচুর সদস্যদের অনেকে উপকার পেয়েছেন। এটা আমাদের বিশ্বাস মা কালীকে এইভাবে পুজো করলে আমরা অনেক কিছু শক্তি পাই ভরসা পাই অনেক জায়গা আমাদের কাছে খুলে যায়। অনেকেই নতুন চাকরি পেয়েছেন অনেকেরই নতুন বাড়ি হয়েছে।" শনিবার রাত এগারোটা থেকে মা কালী পুজো শুরু হবে এখানে। ভোর পাঁচটা পর্যন্ত পুজো হবে। সব মিলিয়ে ছিন্নমস্তা রূপে মা কালীকে পুজো করতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে চেতলার এই ক্লাবের।

advertisement

SOMRAJ BANDOPADHYAY

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
দীর্ঘদিন ধরে কলকাতার এই ক্লাবেই ছিন্নমস্তা রূপে মা কালী পূজিতা হন, কোথায় জেনে নিন...
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল