কোনও জামাই ভালবাসে ইলিশ... , কেউ বা আবার চিংড়িতে মজে...
জামাইদের পাতে পাবদা-পমফ্রেট সাজিয়েও স্বস্তি কোনও শ্বশুর
মঙ্গলবার জামাইষষ্ঠী। বিশেষ দিনে জামাইয়ের প্রিয় পদের জোগাড়ে তাই এখন থেকেই ব্যস্ততা। রবিবার আগেভাগে বাজার সারতে গিয়ে শ্বশুর শাশুড়িদের ছেঁকা দিয়েছিল বাজারের আগুন দাম।
বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে রাজ্যের ইলিশ নেই। শনিবার থেকে ইলিশ ধরতে শুরু করেছেন মৎস্যজীবীরা। তাই বাধ্য হয়ে ফ্রোজেন ইলিশই বিক্রি করছেন তাঁরা। যোগান কম কিন্তু জামাইষষ্ঠীর বাজারে চাহিদা বেশি হওয়ায় দামও বেড়েছে।
advertisement
ইলিশের সঙ্গেই গলদা চিংড়ি-চিতল-পাবদা- পমফ্রেটেরও দাম চড়া। তবুও এই একটা দিন জামাই বাবাজিকে সন্তুষ্ট করতে কোনও রকমের সমঝোতার পথে হাঁটতে চাননা শাশুড়ি মায়েরা ৷ বাজারে দাউ দাউ করে আগুন জ্বললেও জামাইয়ের পাত যেন ফাঁকা না যায় ৷
কলকাতার বিভিন্ন বাজারের মাছের গড় দাম ইলিশ (১.৫ কিলো) প্রতি কিলো ১,৩০০-১,৫০০ টাকা কেজি, পাবদা ৬০০-৭০০ টাকা কেজি, পমফ্রেট ৬০০-৮০০ টাকা কেজি, গলদা চিংড়ি (বড়) ১০০০ টাকা কেজি, গলদা চিংড়ি (ছোট) ৬০০ টাকা কেজি, চিতল মাছ ৮০০ টাকা, ভেটকি ৮০০-৯০০ টাকা ৷ মাংসের বদলে এবার বাঙালি জামাইবরণে মাছের দিকেই বেশি নজর দিয়েছে ৷
মাছের সঙ্গে সঙ্গে ফলের বাজারেও লেগেছে আগুন ৷ আম বাঙালির সাধের ফল, সেই আমেও লেগেছে আগুনের ছ্যাঁকা ৷ তবে আম ছাড়া জামাইষষ্ঠী কল্পনাই করা যায়না ৷ শুধুই আম নয়, অন্য সব ফলের দামও ঊর্ধ্বমুখী। হিমসাগর আম ৭০- ৮০ টাকা প্রতি কেজি, লিচু- ১৪০ টাকা কেজি, জাম ২০০ টাকা, আপেল ২০০-২২০ টাকা কেজি করে ৷
তবে জামাইদের পছন্দের সঙ্গে কোনও আপস করতে রাজি নন শ্বশুর-শাশুড়িরা। বিশেষ দিনে জামাইকে খুশি করতে পকেটের দিকে তাকালেন না কেউই।