মমতা সাংবাদিক বৈঠক থেকে এ দিন বলেন, ‘এগরায় যে ঘটনা ঘটেছে, খুবই দুঃখজনক ঘটনা, খারাপ লাগছে৷ যে জায়গাটা হচ্ছে ঠিক ওড়িশার সীমান্তে৷ এবং যে এই বেআইনি কারখানা চালাচ্ছিলেন, তাঁকে আমাদের পুলিশ আগেও গ্রেফতার করেছিল, ১৯ অক্টোবর, ২০২২ সালে৷ তাঁর কেসটা নিয়ে আদালতে যাওয়াও হয়েছিল৷ কিন্তু আদালত থেকে জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন৷ জায়গাটা এমন বিচ্ছিন্ন স্থান, মাঝখানে ঘর তৈরি করে এগুলো ওড়িশায় পাঠানো হত৷ ওর বিরুদ্ধে চার্জশিটও করা হয়েছিল৷ আদালত থেকে জামিন পেয়ে কয়েকদিন আগে ফের এই কারখানা শুরু করে বেআইনি ভাবে৷ এরকম কিছু বাজি কারখানা, বেআইনি, এসব দিকে আছে৷ এবং সবচেয়ে দুর্ভাগ্য লোকাল ছেলেমেয়েরা কাজ করে৷ তাঁরা বাড়ির সামনে কাজটা করে বলে, কোনও সমস্যা হলে তাঁদের ঘাড়েই পড়ে৷ এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে যা খবর, তাতে আমরা পুলিশ ও দমকল পাঠিয়েছিল৷’
advertisement
আরও পড়ুন: সানাইয়ের সুর, বিয়ের মণ্ডপ, এসেছেন নিমন্ত্রিতরাও! বর-কনে কারা..? দেখেই চক্ষু চড়কগাছ!
আরও পড়ুন: ‘তিহাড়ে উনি কেমন আছেন…?’ হঠাৎ অনুব্রতর খোঁজ দিলীপের! কোন রহস্য ফাঁসের ইঙ্গিত? তুমুল শোরগোল
এর পর রাজনৈতিক প্রসঙ্গও টানেন তিনি৷ বলেন, ‘এই গ্রাম পঞ্চায়েতটি নির্দলকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপি তৈরি করে৷ তাঁদের তথ্য রাখা উচিত ছিল কেন তাঁদের এলাকায় এই ঘটনা ঘটছে৷ আমাদের কাছে যা তথ্য তাতে পাঁচজন মৃত, সাতজন আহত৷ মালিক নাকি ওড়িশার দিকে পালিয়েছে৷’
মমতা তার পর সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়েও বলেন, ‘সীমান্তে বিভিন্ন আইসোলেটেড জায়গা থাকে৷ আমি বারবার বলি, বর্ডারগুলোতে নাকা চেকিং করতে, বর্ডার চেকিং করতে৷ আমরা কেসটা সিআইডিকে দিয়েছি, তারা রিপোর্ট দেবে৷ দমকলও রিপোর্ট দেবে৷ তদন্তের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে, এসপি স্পটে গিয়েছিলেন৷ বিজেপির পঞ্চায়েত বলে, আমাদের বিধায়ককে স্পটে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে৷ মানস ভুঁইয়াকে বলেছি৷ একটা মজার জিনিস দেখছি, তোমার যেখানে জোর, সেখানে আমাদের ঢুকতে দেবে না, এটা কেমন? এটা তো ল’অ্যান্ড অর্ডারের সঙ্গেও যুক্ত নয়৷ আমরা তা সত্ত্বেও মনে করি, আর কোথায় কোথায় বেআইনি বাজি কারখানা আছে দেখতে হবে৷ নাকা চেকিং বাড়াতে হবে৷ এখানে তৈরি করবে, ওড়িশায় গিয়ে বিক্রি করবে, তথ্য না থাকার ফলে, তা হবে না৷’
এর পরেই আর্ত পরিবারবর্গকে সাহায্যের কথা বলেন তিনি৷ বলেন ‘আমরা দুঃখিত, আমরা পরিবারগুলোকে আড়াই লক্ষ টাকা করে সাহায্য করব, যাঁরা আহত তাঁদের এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে৷ জ্ঞানবন্ত সিংকে পাঠানো হয়েছে৷ আমরা লোকাল আইসিকে শো-কজ করে অ্যাকশন নেব৷ পুলিশ যখন একটা থানার দায়িত্ব নেয়, তখন তাঁর এলাকায় কে কী করছে না করছে, তাঁদের দায়িত্ব নেওয়া উচিত৷’
এর পর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত নিয়ে মমতা বলেন, ‘যাঁরা, আমার বন্ধুরা এনআইএ করে চেঁচাচ্ছে, তাঁদের বলছি, আমাদের কোনও আপত্তি নেই৷ আমরা আমাদের তদন্ত শুরু করেছি৷ যদি তাঁরা মনে করে, এনআইএ করে হবে, তা হলে করুক৷ তবে আমরা চাইব আসল অপরাধীরা যেন শাস্তি পায়৷’