উত্তর থেকে দক্ষিণ লড়াই বৈচিত্র্যে ভরপুর। প্রথমেই আসা যাক কলকাতা পুলিশের আওতাদিন আসনগুলির দিকে যাদবপুর, সোনারপুর, উত্তর ও টালিগঞ্জে এগিয়ে ছিলে তৃণমূল। ডায়মণ্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মহেশতলা, মেটিয়াবুরুজ এলাকায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রেকর্ড লিড নেয়। কসবাতেও এগিয়ে ছিল তৃণমূল। বালিগঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র থেকে মালা রায় দেড় লক্ষের বেশি ভোটে জিতেছিলেন।
এদিকে আগামীকাল পরীক্ষায় বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একসময়ের অনুগত, অধুনা বিজেপি মুখ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ডোমজুড়ের মতো কেন্দ্রে দুবার বিধানসভা ভোটে জিতেছেন তিনি। কিন্তু লড়াইটা আজ অন্য দল থেকে, মানুষ কি প্রতীক না দেখে রাজীবকে ভোট দেবে নাকি তৃণমূলেই আস্থা রাখবে, ডোমজুড়ের নিরিখে এটাই প্রশ্ন। মনে রাখতে হবে, ডোমজুড়, শিবপুর, পাঁচলা, বালি-র মতো জায়গায় গত লোকসভায় তৃণমূলেরই জয়জয়কার ছিল। তবে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, রথীন চত্রবর্তী, বৈশালী ডালমিয়ারা একে একে জার্সি বদলেছেন। এর পরে কে শেষ হাসি হাসবে হাওড়ায় এ কথা বলা মুশকিল। পাশাপাশি হুগলির শ্রীরামপুরেও তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ হাসি হেসেছিলেন লোকসভা ভোটে। এই আসনটি নিয়েও আগ্রহ থাকবে আমজনতার।
advertisement
তবে চমক অপেক্ষা করছে সিঙ্গুরে। তৃণমূলের ধাত্রীভূমিতে লোকসভা ভোটে বিজেপি এগিয়েছিল। এই লি়ড কি বিধানসভাতেও ধরে রাখা যাবে? শোনা যাচ্ছে, বিজেপির অনেকেই মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের অন্তর্ভুক্তিকরণ ভালো চোখে নেয়নি। অন্য দিকে বেচারাম মান্না দক্ষ সংগঠক। তাই দেখতে হবে, বেচারামের সংগঠনের জোর মাস্টারমশাইয়ের সততার ইমেজের কাছে আদৌ পরাজিত হয় কিনা।
এবার ভোটের গাড়ি ঢুকছে উত্তরবঙ্গেও। বলাই বাহুল্য উত্তরবঙ্গে ১৪টি আসনে ভোট রাজবংশী ফ্যাক্টর ১০টি আসনে রাজংশী ফ্যাক্টর। ২০১৯ এ লোকসভা ভোটে বিজেপি ৪৮ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল। তৃণমূল মাত্র দুটি আসন পায়। কাজেই বিজেপির এখানে চ্যালেঞ্জ গড়রক্ষা আর ত়ৃণমূলের চ্যালেঞ্জ পালে বাতাস লাগানো। কোচবিহারের মাথাভাঙা-সহ বেশির ভাগে আসনেই এগিয়েছিলেন নিশীথ প্রামাণিক, সেই কারণেই দল তাঁকে প্রার্থী করেছে দিল্লি থেকে নামিয়ে এনে। সেই তাস অবশ্য কতটা কাজে লাগবে তা সময় বলবে। অন্য দিকে মাত্র দুটি আসন- শীতলকুচি, সিতাইয়ে এগিয়ে ছিলেন পরেশ চন্দ্র অধিকারী।তৃণমূল চাইছে এই আসনগুলি ধরে রাখতে। আলিপুরদুয়ারের পাঁচটি আসনের পাঁচটিতেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। দেখার তৃণমূল এখান থেকে একটি আসনও পুনর্দখল করতে পারে কিনা।
ভোটচতুর্থীর বাঁশি বাজাতে হাজির কমিশন। আপাতত জনতা জনার্দনের দিকেই তাকিয়ে গণতন্ত্র।