সোমবার বাইপাসের ধরে মেডিকা হাসপাতালের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয় সৌমিত্র চৌধুরী নামে ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। সেই ব্যাক্তি মেডিকার নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যাক্তির সোয়াব টেষ্ট করছেন। বেশকিছু দিন ধরে হাসপাতালে কিছু রোগী এসে জানান তারা টেষ্ট করিয়েছেন মেডিকার-ই কর্মীর কাছ থেকে। বেশকিছু ব্যাক্তির কাছ থেকে একই অভিযোগ আসায় নাম উঠে আসে সৌমিত্র চৌধুরীর। অভিযোগ রাজ্য সরকারের কোভিড ১৯ এর লিঙ্কের সঙ্গে অভিযুক্তের নম্বর দেওয়া হয় বিভিন্ন ব্যাক্তিকে। কখনও বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, কখনও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে পাঠানো হয় সব তথ্য। টেষ্টের জন্য আগ্রহী ব্যাক্তিরা ফোন করতেই অপরদিক থেকে পরিচয় দেওয়া হয় মেডিকার কর্মী হিসাবে। একইভাবেই প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ জনকে জালে নিয়ে আসেন অভিযুক্ত। হাসপাতালে টেষ্টের খরচের তুলনায় অনেক বেশি টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনিতে নেওয়া হয় ২২৫০ টাকা, অভিযুক্ত নেন ৩৬০০ টাকা। নিজের পছন্দ মত ল্যাব দিয়ে টেষ্ট করে সেগুলো পৌঁছে দেওয়া হত রোগীর পরিবারের কাছে।
advertisement
সমস্ত অভিযোগ থানায় দায়ের করে মেডিকা কতৃপক্ষ। চেয়ারম্যান অলোক রায় জানান, 'সৌমিত্র চৌধুরী মেডিকার সঙ্গে যুক্ত নন, এই ধরনের অভিযোগ আসার পরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্তকে বেশ কিছু তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে পূর্ব যাদবপুর থানা। অভিযুক্তকে আলিপুর আদালতে তাকে পেশ করা হয়। আগামী ৭ই আগষ্ট পর্যন্ত জেল হেফাজত দেয় আদালত।
Susovan Bhattacharjee