সীতারাম ইয়েচুরিকে প্রার্থী করার প্রস্তাব দলের পলিটব্যুরোর আপত্তিতে ফের খারিজ হওয়ার পরে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বিকাশবাবুকেই বিকল্প হিসেবে চেয়েছিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। রাহুল গাঁধীর সঙ্গে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক ইয়েচুরি এ বিষয়ে আলোচনা করেন। শেষে বিকাশবাবুর নামই চূড়ান্ত হয়েছে।
এদিন কংগ্রেসের হাইকম্যান্ডের তরফে সবুজ সঙ্কেতের কথা আলিমুদ্দিন কে জানিয়ে দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক। আবার এআইসিসি পক্ষ থেকে বাম প্রার্থীকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
advertisement
তিন বছর আগে রাজ্যসভায় প্রার্থী হয়েও শেষ সময়ের কয়েক সেকেন্ড পরে অতিরিক্ত হলফনামা জমা পড়ায় বিকাশবাবুর মনোনয়ন খারিজ হয়ে গিয়েছিল। এ বার কাগজপত্র গুছিয়ে নিতে আটঘাট বেঁধে নামছেন কংগ্রেস ও সিপিএম নেতৃত্ব।
এখন প্রশ্ন হল, বিকাশবাবুর জয় কি নিশ্চিত? বাম ও কংগ্রেস শিবির মনে করছে, তাঁদের প্রার্থীর রাজ্যসভায় যেতে বিশেষ সমস্যা হবে না। পরিষদীয় তথ্য অনুযায়ী, দলত্যাগীদের বাদ দিয়ে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের মিলিত বিধায়ক-সংখ্যা এখন ৫১। তৃণমূলের প্রতীকে নির্বাচিত বিধায়ক ২০৭ জন। শাসক দল যদি পঞ্চম আসনে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তা হলে চার প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করে যে অতিরিক্ত ভোট তাদের হাতে থাকবে, তা বাম ও কংগ্রেসের মিলিত ভোটের চেয়ে অনেকটাই কম। বাম ও কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন, এমন বিধায়কের সংখ্যা ১৭। আবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির পতাকা হাতে নিয়েছেন ১০ বিধায়ক। এই সব দলত্যাগী তৃণমূলকে ভোট দিলেও তাদের পঞ্চম প্রার্থীর জয় নিশ্চিত— এমন কথা বলা যায় না।
UJJAL ROY