এ দিন সিপিআইএম-এর পলিটব্যুরো সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, "কিছু লোকের মন খারাপ হলে বলে একলা চলো রে। এটা রবি ঠাকুরের কথা। রবি ঠাকুরের চাইতে তো বেশি বলতে পারি না। তবে তাঁর পুরো কথাটা হল যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে। কিন্তু কাউকে ডাকলেনই না। মানুষকে ডাকতে হবে। পিঁড়ি পেতে দেবে। আজকের ফ্যাসিবাদ মগজে আক্রমন করে। তাই মগজাস্ত্র দিয়েই আক্রমণ করতে হবে। দিল্লিতে মোদী না থাকলে ইনি থাকবে না। আর উনি না থাকলে বিজেপি থাকবে না। কিন্তু দুটো বিষয় দু'রকম। বড়টা দিল্লিতে আছে। ওদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে৷ ওটা সরাতে পারলে এটা খুচরো কোনও ব্যাপার না। এমন ভাবে ডাকতে হবে যেনও সবাই আসে। এমন ডাকবেন না যে কেউ আসবে না।"
advertisement
আরও পড়ুনঃ একই লাইনে হুড়মুড়িয়ে ঢুকছিল ২ ট্রেন! হুগলি স্টেশনে তারপর যা ঘটল...
সিপিআই-এর রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দোপাধ্যায় বলেন, "আমরা দুর্বল হয়ছি। এটা কালের ইতিহাসের গতি। সভ্যতা গড়গড় করে চলে না। আঁকাবাকা পথে চলে। যখন বামেরা দুর্বল হয়। পুঁজিবাদ মানব সভ্যতাকে গিলে খেতে চায়। দেশ জুড়ে কর্পোরেট পুঁজির গোলাম। যেখানে বিজেপি দুর্বল। সেখানে কিছু আঞ্চলিক দল সহযোগিতায় এগিয়ে আসে। দশ ভাগ মানুষ পুঁজির অধিকারী। তার সঙ্গে আরও দশ ভাগ মানুষ ভাল থাকবেন। তবে সেটা ৭০ শতাংশ মানুষের রক্ত চুষে। এটা ভেঙে বেরিয়ে আসতে না পারলে সর্বনাশ। লালঝাণ্ডা মানুষকে একত্রিত করে রাস্তায় নামাবে। আমাদের দেশে বামপন্থী আন্দোলন শক্তিশালী হতে বাধ্য।"
আরও পড়ুনঃ মমতার গলায় ফের 'খেলা হবে', পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাঁকুড়ায় উজ্জীবিত দলীয় কর্মীরা
সিপিআইএমএল লিবারেশনের নেতা কার্তিক পাল বলেন, "জিনিসের দাম বিশেষ করে ওষুধের দাম বাড়ছে। চাল ডাল কিনলে মাছের দাম নেই। এই দেশটা আমার। মোদী শাহের নয়। শ্রমিক কৃষকের আয় বাড়েনি। আমরা দুশো দিনের কাজ চাই। কেন্দ্র উদাসিন। লাল পতাকা সেই লাল পতাকা আছে কী না মানুষ দেখতে চায়। লাল পতাকার ধার ও ভাড় দেখতে চায়। বামেদের একটা এমএলএ নেই এমপি নেই এই রাজ্যে। এখন থেকে সেই জায়গা তৈরি করতে হবে। লোক কোথায় গেল এটাই প্রশ্ন। সবাই মিলে লড়াই করতে হবে। দিল্লির মতো লাগাতার লড়াই করতে হবে।"
পিডিএসের অনুরাধা পুততুণ্ডের বক্তব্য, "কখনও একসঙ্গে আছি কখনও বিরোধিতা করছি এটা মানুষ দেখতে চান না। ঐক্যবদ্ধ ভাবে থাকতে চাই।" সিআরএলআই নেতা অসীম চট্টোপাধ্যায়ের মতে, "ফ্যাসিবাদকে রুখতে গেলে সব বামপন্থী ও গণতান্ত্রিক দলকে এক হতে হবে।" সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সবার শেষে বলেন, "জনগণকে একসঙ্গে যেমন চলার কথা বলেছি নেতাদেরকেও তাই বলছি।" রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের মতে, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করায় অনেক বাম দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল আলিমুদ্দিনের। কিন্তু সম্প্রতি বেশ কয়েকটি নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়নি। নির্বাচনে ফলও আগের তুলনায় ভালো হওয়ায় কংগ্রেসের প্রতি আগ্রহ কমছে দলের। সেই জায়গায় বাম দলগুলির সঙ্গে আরও বেশি করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কৌশল নেওয়া হয়েছে। সব বাম দলগুলিরও যে এতে সায় আছে এ দিনের বক্তব্যে তারই ইঙ্গিত রয়েছে।
UJJAL ROY