১০০ দিনের টাকা নিয়ে বাংলাকে বঞ্চনা করেছে কেন্দ্র। এই অভিযোগে অভিষেকের নেতৃত্বে আগেও দিল্লিতে আন্দোলন করেছেন তৃণমূল সাংসদরা। ২০২৪ সালের লোকসভাতেও ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বাংলার বঞ্চনার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ভোটের প্রচার করে তৃণমূল। বাংলার শাসক দলের অভিযোগ, ভোটে জিততে না-পেরে বাংলার মানুষকে ভাতে মারতে চাইছে বিজেপি। অভিষেক জানান, ১০০ দিনের কাজের বকেয়ার দাবি নিয়ে বর্তমান গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সঙ্গে দেখা করতে চান তাঁরা। ৩৫ হাজার কোটি বকেয়া রয়েছে। এর জন্য সময় চাইছে তৃণমূল ।
advertisement
এদিকে বাংলার বিরোধিতার প্রমাণ দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কেন্দ্র। গরিব মানুষের রোজগারের জন্য ১০০ দিনের কাজ চালুর নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। এই নিয়ে যথেষ্ট ভর্ৎসনা করেই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, মানুষের কর্মসংস্থানে অগ্রাধিকার দিয়ে অগাস্ট থেকেই ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ চালু করতে হবে। কিন্তু সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সোমবার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় সরকার। এই মামলা গৃহীত হয়েছে। চলতি সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা।
কলকাতা ফিরে কেন্দ্রের এই বাংলা বিরোধিতা দিয়ে আক্রমণ করে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”১ অগাস্ট থেকে ১০০ দিনের টাকা শুরু করতে হবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমাদের দাবি ছিল বাংলাকে যেভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে সেই পাওনা আগে মেটাতে হবে। আগের টাকা না মিটিয়ে সরকার সুপ্রিম কোর্টে চলে গেল। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছে। গত তিন-চার বছর ধরে ১০০ দিনের কাজে বাংলাকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। হাইকোর্ট ফের বাংলায় ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে বলেছে। সেটা আটকাতে এবার কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে গেছে। তবে কেন্দ্রকে এই প্রকল্পে আগের বকেয়া টাকাও পশ্চিমবঙ্গকে দিতে হবে। বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করতেই কেন্দ্র এই পথে হাঁটছে। এই কারণেই আমরা বিজেপিকে বাংলা-বিরোধী বলি।”
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলছেন, যতক্ষণ না ফেক জব কার্ড আর আসল জব কার্ড আলাদা করা হচ্ছে ততক্ষণ কেন টাকা দেওয়া হবে? টাকা নিয়ে দুর্নীতি করে অনেকেই পালিয়ে গিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।