গড়িয়ার বাসিন্দা খুদে রেয়াংশ আলো ফেলেছে বিগ ব্যাং তত্ত্বে, সময় প্রসারণ তত্ত্বে। তারাদের জীবনচক্র, সৌরজগৎ, ডার্ক এনার্জি থেকে শুরু করে আইনস্টাইন-নিউটন এর চিন্তাগত পার্থক্য-সহ বহু বিষয়ে রেয়াংশের অনুসন্ধিৎসু মনের নানা দিক উঠে এসেছে।
পরিবার সূত্রে খবর মাত্র পাঁচ বছর বয়স থেকেই জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চা শুরু করে এই বিস্ময়বালক। আকাশের নানা কারসাজি তাকে মুগ্ধ করত। ওর নিজের কথায়, "আমি তারা ভরা আকাশ দেখে প্রশ্ন করতাম আলোর বিন্দুগুলি আসলে কী? আর আমি এদের মাঝে ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে আছি!" এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতেই বছর তিনেক বহু বই পড়ে ফেলেছে সে। দেখে ফেলেছে অসংখ্য কার্যকরী ভিডিও। সাত বছর বয়সে সে সিদ্ধান্ত নেয় বই লেখার।
advertisement
রেয়াংশ বলছে, "আমি জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতেই এই বই লিখেছি। আমার মনে হয় যত বেশি মানুষ তথ্যপ্রযুক্তি, স্পেস, গণিত, বিজ্ঞানের মতো বিষয়ে জানবে, ততই সভ্যতার চাকা মসৃণভাবে ঘুরবে। আমরা গ্লোবাল ওয়ার্মিং বন্যার মত বড় সমস্যাগুলিকেও দূর করতে পারব আমরা।"
বলতে সংশয় নেই রেয়াংশ এক অদ্ভুত বাচ্চা। মা সোহিনী রাউতের কথায়, "পাঁচ বছর বয়স থেকেই আকাশের নানা বিষয় নিয়ে চর্চা করে ও। জটিল থিওরি নিয়ে কথাবার্তা বলতে পছন্দ করে। আমরা যখন কোনও বিশেষ পদার্থবিদের সঙ্গে ওকে বসিয়ে দিয়েছি, দেখেছি স্বছন্দেই কথাবার্তা বলে যাচ্ছে।"
রেয়াংশের বই সামনে আসতেই আমাজনে হইচই শুরু হয়ে গিছে। বহু পাঠকই বইটিকে নানা বিশেষণে ভূষিত করছেন। কেউ বলছে অসাধারণ, কেউ বলছেন অবাক হয়েছেন বইটি পড়ে। আর রেয়াংশ আপাতত মজে রয়েছে তার দ্বিতীয় বইটি নিয়ে, এবারের বইটি অঙ্কের।