গতবছর, বারুইপুর স্টেশনের ফুটব্রিজের স্ল্যাব ভেঙে পড়ায় মৃত্যু হয় এক মহিলার। গুরুতর জখম আরও এক বৃদ্ধা। পুজোর বাজার সেরে ফিরছিলেন বারুইপুরের বাসিন্দা অসীমা প্রামাণিক। স্টেশনে পৌঁছনোর পরই হঠাৎ ভেঙে পড়ে রেল ফুটব্রিজের আস্ত একটা স্ল্যাব। তার তলায় চাপা পড়েই মৃত্যু হয় তেতাল্লিশ বছরের অসীমার। গুরুতর জখম হন ছবি প্রামাণিক। বেগমপুরের বাসিন্দা ষাট বছরের ছবিকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিজেদের গাফিলতিতেই যে দুর্ঘটনা তা একপ্রকার স্বীকার করে নিয়েছে রেল।
advertisement
চলতি বছর মার্চ মাসে মুম্বইয়ে ছত্রপতী শিবাজি টার্মিনাস রেল স্টেশনে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ফুটব্রিজ। মৃত্যু হয় ৬জনের, আহত ৩০-এরও বেশি। ফুটব্রিজটার নামই হয়ে গিয়েছিল ‘কসাব ব্রিজ’। ২৬/১১-তে মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস স্টেশন (সিএসটি)-এ তাণ্ডব চালানোর পরে এই সেতু পেরিয়েই নাকি কামা হাসপাতালে গিয়েছিল লস্কর জঙ্গি আজমল কসাব। সন্ধে সাড়ে সাতটায় সেই ব্রিজেরই কংক্রিটের পাটাতনের একটা বড় অংশ ভেঙে পড়ে নীচের রাস্তায়। মৃত দুই মহিলা-সহ ৬ জন। নিহত দুই মহিলা নিকটবর্তী জি টি হাসপাতালের কর্মী বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়। সিএসটি-র ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের উত্তর প্রান্তের সঙ্গে এই ব্রিজই জুড়েছে উল্টো দিকের বি টি লেনকে। কাছেই একটি ইংরেজি সংবাদপত্রের দফতর। ১৯৮৪ সালে তৈরি এই ফুটব্রিজ দিয়ে কয়েক লক্ষ মানুষ পারাপার করেন রোজ। দুর্ঘটনার সময়েও ব্রিজে ছিল অফিস টাইমের ভিড়। ভেঙে পড়া চাঙড়ের আঘাতে রাস্তাতেও জখম হয়েছেন অনেকে।