‘‘গতকাল স্কুল যেতে চাইছিল না ওরা ৷ খুব বয়না করছিল ৷ আমিই ওদের জোর করে স্কুলে পাঠাই ৷ আর কোনওদিন ফিরবেন না ৷’’ ঘটনার আকস্মিকতায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছেন তিন সন্তানের মা ৷ প্রবল কান্নায় গলা বুজে আসছে ৷ তবু কোনওমতে কথাগুলো বলে ফেললেন কিরণ দেবী ৷ উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরে স্কুল বাস আর ট্রেনের দুর্ঘটনায় মৃত ১৩ পড়ুয়ার মধ্যে রয়েছে তাঁর দুই ছেলে আর এক মেয়েও ৷
advertisement
আরও পড়ুন: রেল লাইন পার হতে গিয়ে ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা স্কুল বাসের, মৃত ১৩ পড়ুয়া
১২ বছরের রবি, ১০ বছরের সন্তোষ ও ৭ বছরের রাগিনী, তিন ভাইবোন সকালে বায়না জুড়েছিল স্কুল যাবে না বলে ৷ জোর করে তাদের পাঠানো হয়েছিল স্কুলে ৷ আপশোসের শেষ নেই পরিবারের ৷ ঠাকুরদা হরিহর প্রসাদ জানান, নাতি-নাতনির স্মৃতিই ছড়িয়ে রয়েছে সারা বাড়িতে ৷ কিন্তু ওরা আর ফিরবে না ৷ কিছুদিন আগেই জন্মনিয়ন্ত্রণের অস্ত্রোপচার করেছেন তাঁর ছেলে ৷ সে আর কোনওদিন বাবা হতে পারবে না ৷
আরও পড়ুন:দুর্ঘটনার কবলে রাহুল গান্ধির বিমান, একাধিক যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল, তদন্তের দাবি কংগ্রেসের
গতকাল সকালে প্রহরীবিহীন লেভেল ক্রসিং পার হতে গিয়ে লোকাল ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছিল ডিভাইন পাবলিক স্কুলের বাসটা ৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১৩ জনের ৷ বেশিরভাগই স্কুলপড়ুয়া এবং সকলেরই বয়স ১০-এর নীচে ৷ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৮ জন ৷
ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ৷ মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে যোগী প্রশাসন ৷