সৌম্যার বাড়ি কান্নুরের পিনারায়ি গ্রামে। স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর দুই মেয়েকে নিয়ে বাবা মার সঙ্গে থাকতেন তিনি। বেশকিছুদিন ধরেই এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল সৌম্যার ৷ একদিন ওই যুবকের সঙ্গে তাঁকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলে সৌম্যার বড় মেয়ে ঈশ্বরা ৷ সব কথা দাদু-দিদিমাকে জানিয়ে দেয় সে ৷ তখন থেকেই বাড়িতে অশান্তির শুরু ৷ সৌম্যা ঠিক করে সকলকে সরিয়ে দিতে হবে ৷ তিলে তিলে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে সে ৷ সেই মতো প্রতিদিনের খাবারের সঙ্গে একটু একটু করে বিষ মিশিয়ে দিতেন সৌম্যা ৷
advertisement
আরও পড়ুন:দিল্লির বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা এক স্বর্ণ-ব্যবসায়ীর
বিষক্রিয়ার ফলে ২০১২ সালে প্রথম মৃত্যু হয় সৌম্যার ছোট মেয়ে এক বছরের কিথানার ৷ বমি এবং পেটের গোলমালের ফলে মারা যায় সে ৷ এ বছরের জানুয়ারিতে মারা যায় ছয় বছরের মেয়ে ঈশ্বরা ৷ সমস্যা সেই একই ৷ এরপর আবারও একই সমস্যায় মারা যান সৌম্যার বাবা-মা ৷ মা ভি কমলা মারা যান ৭ মার্চ, বাবা পিকে কুঞ্জিকান্নানের মৃত্যু হয় ১৩ এপ্রিল ৷ সকলেই বাড়িতে মারা যান ৷ এবং কোনও ময়নাতদন্তে ছাড়াই প্রত্যেককে কবর দেওয়া হয় ৷
আরও পড়ুন:রেল লাইন পার হতে গিয়ে ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা স্কুল বাসের, মৃত ১৩ পড়ুয়া
পরপর তিনটি একই কারণে মৃত্যু দেখে সন্দেহ হয় পড়শিদের ৷ তাঁরাই খবর দেন পুলিশে ৷ বাবা-মার মৃত্যুর পর সন্দেহের তীর অন্যদিকে ঘোরাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যান সৌম্যাও ৷ পুলিশ এসে একটি মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তে পাঠায় ৷ দেখা যায়, মৃতের অন্ত্রে অত্যন্ত বেশিমাত্রায় অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড রয়েছে ৷
এরপরে হাসপাতাল থেকে সৌম্যাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ জেরায় অপরাধ কবুল করে নেন সৌম্যা ৷