বিএসপির হাতি (নির্বাচনী চিহ্ন) আর জেডিএসের শুকনো ঘাস মাথায় মহিলা (নির্বাচনী চিহ্ন) জোট বাঁধতে দেখে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি তথা বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদ প্রার্থী তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে স্বীকার করেছেন । ভোটের ময়দানে বিএসপি থাকায় বিজেপি-র দলিত বিরোধী ভোট নিজের দিকে টানতে পারে বিএসপি আর বিএসপি নির্বাচনী ময়দানে থাকায় কংগ্রেস বেশি সুবিধা দিতে পারে । কংগ্রেস নেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মায়াবতীর উপস্থিতি বিজেপির ফায়দাই করবে ।
advertisement
জেডিএস-বিএসপি সাথে জোট নিয়ে প্রবল প্রচার করেছিল । কিন্তু এখন সবাই চুপ যেখানে নির্বাচনের এখন মাত্র ১ মাস বাকি । বিএসপির কর্ণাটক নেতৃত্ব বা প্রার্থীরা এখনও তেমন ভাবে প্রচার শুরু করেনি ।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে গত মাসে গোরক্ষপুর ও ফুলপুরে উপনির্বাচনে এসপি-বিএসপি জোটের কাছে বিজেপির পরাজয় চর্চায় আসার পর থেকে মায়াবতী প্রতিনিয়ত ভাবনা চিন্তার পরিবর্তন করছেন । তাই মনে করা হচ্ছে হাতি আর সাইকেলের জোটই এক নতুন দিনের রাজনৈতিক দিশা হতে পারে ।
জেডিইউএস প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ চৌধুরি চরণ সিং ঘনিষ্ঠ অধ্যাপক নরসিমাপ্পা মনে করছেন উত্তরপ্রদেশ উপনির্বাচন থেকে মায়াবতী নিজের শক্তি বুঝতে পেরেছেন । এখন তাঁর স্থির বিশ্বাস তিনি বিজেপিকে হারাতে পারেন তবে অবিজেপি ভোট নিজের পক্ষে টেনে নিতে আগ্রহী নন । আর কংগ্রেস যদি ক্ষমতায় আসে সে ব্যাপারেও তাঁর দুশ্চিন্তা হওয়ার কথা নয় । হয়ত তাই তিনি মৌন । সমস্ত হিসাব মিলবে না হিসাবের বাইরের হিসাবই সত্যি হবে ! এখন অপেক্ষার মাত্র এক মাস ।