প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এই ডিএলএড পাঠক্রমের মাধ্যমে। দু-বছরের কোর্সের চারটি সেমিস্টারে পরীক্ষা হয়। এ বার পর্ষদের নজরদারিতেই হচ্ছে এই ডিএলএড পরীক্ষা। কিন্তু সেই পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনেই ফাঁস প্রশ্ন।
পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়েই পরীক্ষার্থীদের অনেকে জানান, ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র এবং পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হুবহু এক। কী ভাবে পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকেরাও। তাঁদের দাবি, স্বচ্ছতার স্বার্থে আবার নেওয়া হোক পরীক্ষা।
advertisement
আরও পড়ুন: ফের দিল্লি! বাঙালি প্রৌঢ়ের দেহ ফ্রিজে, রোজ রাতে দেহাংশ ফেলতে যেত স্ত্রী ও ছেলে
প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষাপর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, "সংবাদমাধ্যমে কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরেছি। কিন্তু কোনও অফিসিয়াল অভিযোগ পাইনি। থানা থেকে প্রশ্ন পাওয়ার কথা ছিল সাড়ে ১০টা নাগাদ। MCQ এবং ২ নম্বরের প্রশ্ন কোনও ভাবে বাইরে এসেছে।
আমি তদন্ত কমিটি গঠন করছি।"
আরও পড়ুন: ট্রেলারের ধাক্কায় চিঁড়ে চ্যাপ্টা গাড়ি, ভিতরে আটকে ৮ যুবক! হাওড়ায় জোর রক্ষা
প্রশ্নফাঁসের পিছনে অবশ্য ব্যক্তি বিশেষের বিশ্বাসঘাতকতাকেই দায়ী করেছেন গৌতমবাবু। তাঁর অভিযোগ, ''নির্দিষ্ট ব্যক্তি যদি বিশ্বাসঘাতকতা করেন, তাহলে কী ভাবে বাধা দেওয়া সম্ভব! এটা অনৈতিক কাজ! বোর্ড চুপ করে নিশ্চই বসে থাকবে না। বোর্ড বিষয়টা হালকা ভাবে নিচ্ছে না। আমি খোঁজ নিয়েছি, এখনও পর্যন্ত কোথাও বিশৃঙ্খলা হয়নি। বোর্ডকে সিদ্ধান্ত নিতে হলে প্রটোকল মেনে করতে হয়।'' তবে গৌতমবাবু মনে করেন, ৪৬ হাজার পরীক্ষার্থীর প্রত্যেকের কাছে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। এর মধ্যে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা আর ঘটবে না বলেই আশ্বাস তাঁর।
আগামী ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিক টেট। টেট-এর ব্যবস্থাপনায় যাতে বিন্দুমাত্র ফাঁকফোকর না থাকে তা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু, ডিএলএড পরীক্ষাতেই প্রশ্নফাঁস হয়ে যাওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ খানিকটা বিব্রত তো বটেই। তবে, সোমবার প্রাথমিক টেট-এর ব্যবস্থা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি।