গত ১২ এপ্রিল টিসিএস-এর তরফে জানানো হয়েছে যে, অর্থবর্ষ ২০২৩-২৪-এ প্রায় ৪০ হাজার ফ্রেশার নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাদের ক্যাম্পাসে। এখানেই শেষ নয়, অর্থবর্ষ ২৩-এও প্রায় ২২৬০০ জন কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। আর চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যেই ৮২১ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। এর মধ্যে মহিলা রয়েছেন ৩৫.৭ শতাংশ।
advertisement
টিসিএস-এর চিফ এইচআর অফিসার মিলিন্দ লক্কড় সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন যে, ওই সংস্থায় প্রতিভা আনার বিষয়টাকে দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে। ওই বছরে প্রায় ৫৩ হাজার কর্মী নেওয়া হয়েছে। যার ফলে এই প্ল্যাটফর্মে কর্মীর সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। যার কারণে দ্বিতীয় বৃহত্তম সংস্থা হিসেবে জায়গা করে নিতে পেরেছে।
আরও পড়ুন: দেশে পরীক্ষায় বসার সুযোগ রয়েছে? ইউক্রেন ফেরত মেডিক্যাল পড়ুয়াদের জন্য বড় খবর
আরও পড়ুন: দশম-দ্বাদশের পর কোন কেরিয়ার বেছে নেবেন? কী ভাবে বাছাই করবেন? রইল বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
তিনি আরও জানিয়েছেন যে, এটাই দেশের সবথেকে বড় প্রাইভেট সেক্টর। যা অর্থবর্ষ ২৩-এ প্রায় ৪৪ হাজারেরও বেশি কর্মী নিয়োগ করেছে। আর সর্বোচ্চ সংখ্যক অভিজ্ঞ কর্মী ওই বছরেই নিযুক্ত হয়েছেন।
নিয়োগ সংস্থাগুলির থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সঙ্গে মিলে গিয়েছে ওই সংস্থার তরফে প্রকাশিত বিবৃতিও। সেখান থেকে জানা গিয়েছে যে, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া মন্থর হয়ে গিয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ওই সেক্টরে চাকরি সন্ধানকারীদের জন্য এন্ট্রি লেভেল (০-৩ বছরের অভিজ্ঞতা) ধার্য করা হয়েছে।
এদিকে আবার টিসিএস, ইনফোসিস, উইপ্রো, এইচসিএল, কগনিজেন্ট এবং ক্যাপজেমিনির মতো সংস্থাগুলি চলতি বছরে হাজার হাজার কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা করছে। বিশেষজ্ঞদের ভবিষ্যদ্বাণী, বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও টেক ইন্ডাস্ট্রিই ফ্রেশারদের জন্য দেশের অন্যতম বড় নিয়োগকারী হয়ে উঠেছে। আর ভারত যাতে কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারে, তার জন্য অন্যতম অবদান থাকবে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রেরই। এমনটাই আশা করা হচ্ছে।