কমিশন সূত্রে খবর উচ্চ প্রাথমিকের ইন্টারভিউ নিতে বাকি রয়েছে এখনও ১৫৮৫ জন প্রার্থীর। এরমধ্যে যারা 'গ্রিভেন্স সেলে' অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাদের মধ্যে থেকে ১৪৪৮ প্রার্থী ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। হাইকোর্টের নির্দেশে ৩৮ জনের ও ডকুমেন্ট আপলোড করার পর ৯৯ জনের। তবে এই সংখ্যক ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ করতে সর্বমোট ১৫ দিন সময়সীমা লাগবে বলে হাইকোর্ট কে জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন বলেই সূত্রের খবর। এর মধ্যে সাত দিন সময় সীমা লাগবে নোটিশ দিয়ে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করতে এবং ইন্টারভিউ নিতে ৬ থেকে ৮ দিন সময় লাগবে এই সংখ্যক চাকরিপ্রার্থীদের।
advertisement
আরও পড়ুন: ১৩৮৪২ টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগে তৎপরতা! নবম- দশমের তালিকা পাঠাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ
মূলত এই ১৪৪৮ জন চাকরিপ্রার্থী যারা প্রথম পর্বের ইন্টারভিউতে ডাক পায়নি কিন্তু পরে গ্রিভেন্স শুনানি পর্বে ইন্টারভিউ দেওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর হাইকোর্টের তরফে সবুজ সংকেত দিলেই উচ্চ প্রাথমিকের এই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করে দিতে চায় এসএসসি। যদিও পুজোর আগে তা শুরু করার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই দাবি করছেন এসএসসির আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত ২০১৪ সাল থেকেই এই উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মোট শূন্যপদ ১৪৩৩৯ টি। উচ্চ মাধ্যমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে প্রথম দফায় মেধা তালিকা প্রকাশ হলেও সেই তালিকায় অস্বচ্ছতার অভিযোগে হাইকোর্ট মেধা তালিকা বাতিল করে দেয়। হাইকোর্টের নির্দেশে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই প্রক্রিয়ার জন্য ইন্টারভিউতে ডাকা হয়েছিল ১৫৪৩৬ জন প্রার্থীকে। যার মধ্যে ইন্টারভিউতে উপস্থিত হয়েছিল ১২৭৯২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে থেকে টেটের নম্বর ও ডকুমেন্টস সঠিক না থাকার কারণে ইন্টারভিউ তালিকা থেকে বাদ গিয়েছিল ২৪৭ জন প্রার্থী।
আরও পড়ুন: ধর্মতলায় বাম ছাত্র-যুবদের 'ইনসাফ' সভা ঘিরে শহরজুড়ে উত্তেজনা! স্তব্ধ একাধিক রাস্তা
হাইকোর্টের নির্দেশে ইন্টারভিউতে যারা ডাক পাবে না তাদের জন্য অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। সেই মোতাবেক অভিযোগ জানানো চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ছিল ১৮৩৫৬ জন। এই ১৮ হাজার ৩৫৬ জন অভিযোগকারী চাকরিপ্রার্থীদের মধ্য থেকে শুনানি পর্বে অনুপস্থিত ছিল ৩৩২৯ জন চাকরিপ্রার্থী।
স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর ইতিমধ্যেই যাবতীয় প্রস্তুতি উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে সেরে রেখেছে এসএসসি। ইন্টারভিউ নিয়ে আদালতের সবুজ সংকেত পেলে তা শেষ করে মেধা তালিকা প্রকাশ করার ব্যাপারেও প্রস্তুতি নেবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তারও অনেকটাই কাজ ইতিমধ্যেই তৈরি করে রেখেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। আর তাই সে ক্ষেত্রে এসএসসির নজর এখন হাইকোর্টের দিকেই।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়