তবে গ্রুপ সি'র কাউন্সিলিংয়ে কোনও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়নি ডিভিশন বেঞ্চ। গ্রুপ সি ৮৪২ চাকরি বাতিলেও কোনও স্থগিতাদেশ দিল না বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ডিভিশন বেঞ্চ। আগামিকাল থেকে শুরু হবে গ্রুপ সি'র কাউন্সেলিং। সেই কাউন্সিলিং এর ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ চান চাকরিহারাদের আইনজীবীরা।
advertisement
এই পর্যায়ে কোন অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিতে রাজি নন ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতিরা। শুনানি শেষ, আপাতত রায়দান স্থগিত রাখে এদিন বিচারপতি তালুকদার ডিভিশন বেঞ্চ। স্কুল সার্ভিস কমিশনের, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং জেলা স্কুল পরিদর্শকের বিরুদ্ধেও তো বিভাগীয় তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। -আদালতে সওয়াল করেন চাকরিহারাদের আইনজীবী অনিন্দ্য লাহিড়ী, পার্থ দেব বর্মনরা।
আরও পড়ুন: অ্যাডিনো সন্দেহে একরাতেই ৬ শিশুর মৃত্যু! বি সি রায়ে বাড়ছে 'ভাইরাস' আতঙ্ক...
আমরা স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশ পত্র, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়োগপত্র এবং জেলা স্কুল পরিদর্শকের অনুমোদন নিয়ে কাজে যোগদান করেছিলাম। এই তিন সংস্থার ভূমিকা কেন খতিয়ে দেখা হবে না? সওয়ালে এমনই প্রশ্ন তুলে ধরেন চাকরিহারাদের আইনজীবীরা। মূল্যায়নকারি সংস্থা NYSA র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নও তোলেন চাকরিহারারা। উত্তরপ্রদেশ সরকারও NYSA কে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল বলেও আদালতে সওয়াল চাকরিহারাদের। নিজের কম্পিউটার থেকে OMR এর স্বাক্ষর পরিবর্তন করে এনে আদালতে পেশ করলেন চাকরিহারাদের আইনজীবী।
অন্যদিকে, সিবিআই এর বাজেয়াপ্ত করা OMR বিকৃত এরকম ভাবার কোনও কারণ নেই, আদালতে এমনটাই জানাল সিবিআই-এর আইনজীবী ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য। এটা শুধুমাত্র স্ক্যান কপি নয়, এর একটা জটিল প্রযুক্তিগত দিক রয়েছে। OMR কোনও সাধারণ কাগজের টুকরো নয়। এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য উচ্চ প্রযুক্তি রয়েছে। এর সঙ্গে একটা Answer String থাকে, যারা দ্বারা এর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হয়। OMR এসএসসির অফিসে স্ক্যান করা হয়, আদালতে জানায় এদিন সিবিআই।
আদালতে এদিন সিবিআইয়ের সওয়াল ছিল "আর্থিক দুর্নীতির দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে, মাথা পর্যন্ত পৌঁছাতে সময় লাগছে, খুব তাড়াতাড়ি মাথার সন্ধান পাওয়া যাবে বলে আমরা আশাবাদী"। কমিশনের আইনজীবী ডঃ সুতনু পাত্র আদালতে জানান, "আমরা OMR পরীক্ষা করে দেখেছি। তারপরেই আমরা সুপারিশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরইমধ্যে চাকরিহারাদের আইনজীবীর সওয়াল," এই নিয়োগপ্রক্রিয়া বর্তমানে ফসিলে পরিণত হয়েছে, সেই প্যানেল থেকে আবারও নিয়োগ করা যায় না।" সব পক্ষের সওয়াল শুনে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ঠাট্টাচ্ছলে বলেন, "ফসিল নয়, মিশরীয় ফসিল।" শুনানি শেষে গ্রুপ সি নিয়োগ মামলার রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি।
অর্ণব হাজরা