ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার নবম - দশম, একাদশ- দ্বাদশ, শারীর শিক্ষা - কর্মশিক্ষা, এবং গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি-এর মেধাতালিকা মেয়াদের সময়সীমা বাড়িয়ে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত করেছে। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করানোর পাশাপাশি শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছে সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি। রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের জন্য ৬৮৬১টি শূন্য পদ তৈরি করা হয়েছে। মেধা তালিকায় হাই জাম্প করে চাকরি পাওয়ার জন্য নবম- দশম স্তরে ১৯৩২ টি শূন্য পদ, একাদশ দ্বাদস্তরে ২৪৭ টি শূন্যপদ, শারীর শিক্ষা কর্মশিক্ষা স্তরে ১৬০০ টি শূন্যপদ তৈরি হয়েছে। বাকি শূন্য পদ গুলি গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি এর জন্য তৈরি করা হয়েছে।
advertisement
কমিশন সূত্রে খবর আজ থেকেই গোটা প্রক্রিয়াটি শুরু করে দিয়েছেন এসএসসির আধিকারিকরা। ডেটারুম খুলে দেওয়ার জেরে গোটা প্রক্রিয়াটি তৈরি হতে সবথেকে বেশি হলে তিন দিন সময় লাগবে বলেই দাবি করছেন এসএসসির আধিকারিকরা। মূলত ২০১৬ সালে বিজ্ঞাপন হয়েছিল এই নিয়োগের জন্য। ২০১৭-১৮ সালে এই বিজ্ঞাপন অনুযায়ী নিয়োগ হয়। মূলত এদের তথ্য পেলেই তারপর স্কুলের নাম-সহ তাদের কোথায় কোথায় নিয়োগ দেওয়া সম্ভব সেই বিষয়ে বিস্তারিত এসএসসিকে জানাবে স্কুল শিক্ষা দফতর। তারপরই স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে সুপারিশ পত্র দেওয়া হবে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের।
আরও পড়ুন: 'বিজেপির নবান্ন অভিযানে বামেদের ডাক শুভেন্দুর! কী বললেন বাম নেতা? রাজনীতি সরগরম!
লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন এসএসসির বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা। শারীরশিক্ষা - কর্মশিক্ষার চাকরিপ্রার্থী থেকে শুরু করে নবম - দশম প্রতিটি স্তরের চাকরিপ্রার্থীরাই লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া পুজোর আগে শুরু করা সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। যদিও এসএসসির তরফে পুরো তথ্য পাওয়ার পরেই গোটা বিষয়টি নিয়ে তৎপর হবে স্কুল শিক্ষা দফতর, সূত্রের খবর তেমনই। ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে স্কুল শিক্ষা দফতর এসএসসির সঙ্গে এক প্রস্থ বৈঠকও করেছে বলে জানা গিয়েছে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়