প্রতি মাসে নিয়োগের যে হার, সেই অনুযায়ী ১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে জুলাই মাসে নিয়োগের পরিসংখ্যান। কিন্তু গত এক বছর বা তার আগের সময়ের সঙ্গে তুলনা করলে জুলাই ২০২৩-এ প্রায় ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে নিয়োগ। হিসেব বলছে ২০২২ সালের জুলাই মাসে যেখানে সূচক ছিল ২৮১, সেখানে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে তা নেমে দাঁড়িয়েছে ২৬৮-তে। এই সমীক্ষা চালিয়েছে এক বেসরকারি সংস্থা।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘চাপে আছি বাবা এসো, মা এসো’! শেষ ফোনে বলেছিল যাদবপুরের স্বপ্নদীপ
কিন্তু কেন এমন হচ্ছে?
বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছেন এমন ঘটার মূল কারণ হতে পারে ভারতীয় চাকরির বাজারে বর্তমান অস্থিরতা। এই ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার কারণে নিয়োগকর্তারা সার্বিক ভাবে নিয়োগ হ্রাসের কথা ভাবছেন। শুধুমাত্র প্রয়োজন-ভিত্তিক নিয়োগকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে অর্থনৈতিক অবস্থার প্রতি নজর রেখে তাঁরা ব্যবসার প্রয়োজনীয়তার দিকেও পরিবর্তন আনছেন।
আরও পড়ুন: ‘ভুয়ো চাকরির তদন্তে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র খুঁজতে হবে’, সিআইডিকে ৭ দিন সময় দিল হাইকোর্ট
বিভিন্ন সংস্থা তাদের কর্মীদের ক্ষেত্রে D&I (Diversity & Inclusion)-এর কথা ভাবছে। সেই লক্ষ্যে সংস্থাগুলি উপযু্ক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করছে। বিভিন্ন গোষ্ঠীর মানুষের জন্য কর্মক্ষেত্রে পেশাদার পরিবেশ তৈরি করতে সংস্থা কাজ করছে, এক্ষেত্রে একটা বড় পরিবর্তন ঘটছে।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, অন্য সমস্ত শিল্পের মধ্যে এই বিষয়টি প্রয়োগের ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে আইটি-সফ্টওয়্যার। তারা তাদের কর্মসংস্থান সুযোগের মাত্র ৪০ শতাংশ ধারণ করেছে।
বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, ভারতীয় নিয়োগকর্তারা বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজ করছেন। তাই তাঁরা নিয়োগের কৌশলে কিছু নমনীয়তা আনতে চাইছেন। এক্ষেত্রে প্রতিভা এবং সদা পরিবর্তনশীল ব্যবসায়িক পরিবেশের মধ্যে একটা জটিল ভারসাম্য রক্ষা করা প্রয়োজন হয়ে পড়ছে। তাই আপাতত একটা অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে।