বিশ্বজুড়েই মন্দার ছায়া। অনেক বড় কোম্পানিই ব্যাপক কর্মী ছাঁটাই করেছে। ভারতেও ‘গো ফার্স্ট ক্রাইসিস’ অ্যাভিয়েশন সেক্টরে অনিশ্চয়তার পরিবেশ তৈরি করেছিল। এই পরিস্থিতিতে বিমান খাতে আশার আলো দেখাল টাটা গ্রুপ। বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস পাইলট ও কেবিন ক্রু মিলিয়ে প্রায় ৫০০-র বেশি কর্মী নিয়োগ করল।
advertisement
এয়ার ইন্ডিয়া এবং এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের পাশাপাশি, টাটা গ্রুপের অভ্যন্তরীণ বাজেট ক্যারিয়ার এয়ারএশিয়া ইন্ডিয়ার পাশাপাশি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস, ভিস্তারার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এয়ারলাইনে ৫১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
ভিস্তারাকে এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে একীভূত করার প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি এয়ারএশিয়া ইন্ডিয়াকে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। টাটা গোষ্ঠী অধিগ্রহণের পর থেকেই এয়ার ইন্ডিয়া এবং এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের পরিষেবা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন রুটে আরও ফ্লাইট পরিচালনা বাড়াতে চায় সংস্থাটি।
কয়েক মাস আগেই এয়ার ইন্ডিয়ার ইনফ্লাইট সার্ভিসের প্রধান সন্দীপ ভার্মা বলেছিলেন, এই মাসে প্রচুর সংখ্যক বিমানের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্কগুলিতে আরও ফ্লাইট যুক্ত করা হচ্ছে। এজন্যে আরও পাইলট ও ক্রু সদস্য প্রয়োজন।
এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস জানিয়েছে, পাইলট এবং কেবিন ক্রু-র শূন্যপদে নিয়োগের লক্ষ্যে গত বছরের অক্টোবর থেকে সক্রিয়ভাবে বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয়। কেবিন ক্রু সদস্য নিয়োগের জন্যে দিল্লি, বেঙ্গালুরু, মুম্বই এবং চেন্নাইয়ের মতো প্রধান মেট্রো শহর ছাড়াও দেশের অন্যান্য ছোট শহরেও ওয়াক ইন ইন্টারভিউয়ের আয়োজন করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, এয়ার ইন্ডিয়া এবং ভিস্তারা একীভূত হওয়ার পরে এবং স্বল্পমূল্যের এয়ারলাইন এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস এবং এয়ারএশিয়া ইন্ডিয়ার একীভূত হওয়ার পরে, এয়ার ইন্ডিয়া গ্রুপ ফুল সার্ভিস ক্যারিয়ার শুরু করতে চায়। সে জন্যেই বিমান এবং পাইলটের প্রয়োজন। বর্তমানে সেই কাজই চলছে।